মানুষের শরীরে শক্তি আসে মূলত খাবার থেকে। আমরা যে খাবার খাই, তাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি থাকে। হজম প্রক্রিয়ায় এগুলো ভেঙে গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত হয়। গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে কোষে পৌঁছে অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে শক্তি উৎপন্ন করে, যাকে সেলুলার রেসপিরেশন বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট বা এ টি পি তৈরি হয়, যা শরীরের শক্তির মূল মুদ্রা।
এ টি পি পেশীর নড়াচড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ, মস্তিষ্কের কার্যক্রম এবং দেহের সব ধরনের রাসায়নিক ক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরে গ্লাইকোজেন আকারে সঞ্চিত থাকে, যা প্রয়োজনের সময় আবার গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে শক্তি দেয়। চর্বিও দীর্ঘমেয়াদি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। তাই সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি ও অক্সিজেন শরীরে শক্তি বজায় রাখতে অপরিহার্য।