আঙ্গুর একটি অতিলতানো গাছের ফল। সাধারণত আঙ্গুর চাষের জন্য ছোট টব বা পাত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মাঝারি সাইজের টব বা বড় বোতল বা অন্য কোন পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। ইচ্ছা করলে বাড়ির উঠোনে বা আঙিনায় মাচা করে আঙ্গুর চাষ করা যেতে পারে।নিচে আঙুর চাষের পদ্ধতি গুলো হল-
জাত বাছাই করা: আমাদের দেশে সাধারণত আঙ্গুর চাষ খুব কম হয়। কিন্তু যা চাষ হয় তার মধ্যে জাককাউ, ব্ল্যাক রুবি ও ব্ল্যাক পার্ল অন্যতম। এগুলোই আমাদের দেশের জন্য ভাল জাতের আঙ্গুর।
রোপনের সঠিক সময়: আঙ্গুর চাষের চারা লাগানোর ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশে আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আঙ্গুর চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। এই সময় আঙুর গাছ লাগালে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
বীজ বপন ও পানি সেচ: আঙ্গুর লাগানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম চারা সংগ্রহ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেখানে প্রচুর সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় আঙ্গুর চারা লাগাতে হবে। এরপর আঙ্গুর চারা গোড়ার মাটির বলসহ গর্ত রোপণ করতে হবে। চারা লাগানোর পর একটা ঠিক গেড়ে গাছকে বেঁধে দিতে হবে এবং হালকা পানি সেচ দিতে হবে।
চাষ পদ্ধতি বা কৌশল: আঙ্গুর চারা লাগানোর পর এর বৃদ্ধির জন্য সময়মতো বাড়তি সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর এক বছর পর আঙ্গুর গাছ ছাটাই করতে হবে। গাছ ছাটাই করার অন্তত সাত দিন আগে গাছের গোড়ায় হালকা সেচ দিতে হবে। খেয়াল রাখবেন আঙ্গুর গাছে পটাশ সার ব্যবহার করলে আঙ্গুর মিষ্টি হয় এবং রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব কম হয়।
সারের পরিমাণ ও সার প্রয়োগ: আঙুর গাছের সাধারণত আপনি বাড়িতে তৈরি জৈব সার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি মাটির সঙ্গে গোবর ও ইটের গুড়া মিশিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও আপনি আঙুর গাছের অজৈব সার নিয়মিত দিতে পারেন।
পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক বা কীটনাশক: আঙ্গুর গাছের সাধারণত পিপরা ও বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণ হয়ে থাকে। এসব পিঁপড়া ও পোকামাকড়ের হাত থেকে আঙুর গাছ কে রক্ষা করতে হলে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করে দিতে হবে।