গরুর দুধের মান পরীক্ষা করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু সহজ উপায় রয়েছে, যা আপনাকে দুধের বিশুদ্ধতা এবং গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। নিচে কয়েকটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
১. পানি মিশ্রণ পরীক্ষা
-
পদ্ধতি: দুধের কয়েক ফোঁটা একটি মসৃণ পৃষ্ঠে (যেমন কাঁচ বা প্লেট) দিন এবং সেটিকে ঢালু করুন।
-
ফলাফল:
-
বিশুদ্ধ দুধ ধীরগতিতে গড়িয়ে পড়বে এবং সাদা দাগ রেখে যাবে।
-
যদি দুধে পানি মেশানো থাকে, তবে এটি দ্রুত গড়াবে এবং কোনো দাগ থাকবে না।
২. গন্ধ এবং স্বাদ পরীক্ষা
-
বিশুদ্ধ গরুর দুধের একটি স্বাভাবিক মিষ্টি গন্ধ ও স্বাদ থাকে।
-
যদি অস্বাভাবিক গন্ধ বা স্বাদ থাকে, তবে সেটি ভেজালযুক্ত হতে পারে।
৩. ডিটারজেন্ট বা সাবানের উপস্থিতি পরীক্ষা
-
পদ্ধতি: দুধের একটি ছোট নমুনা পানিতে মেশান এবং ঝাঁকান।
-
ফলাফল:
-
ফেনা তৈরি হলে, এতে ডিটারজেন্ট মেশানো থাকতে পারে।
-
বিশুদ্ধ দুধে স্বাভাবিকভাবেই খুব অল্প ফেনা হয়।
৪. স্টার্চ পরীক্ষার জন্য আয়োডিন ব্যবহার
-
পদ্ধতি: দুধে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন (আইডোফর্ম) দিন।
-
ফলাফল:
-
দুধ নীল রঙ ধারণ করলে, এতে স্টার্চ মেশানো থাকতে পারে।
-
বিশুদ্ধ দুধের রঙ অপরিবর্তিত থাকবে।
৫. গাঢ়ত্ব পরীক্ষা
-
পদ্ধতি: দুধের কয়েক ফোঁটা পানির সাথে মেশান।
-
ফলাফল:
-
বিশুদ্ধ দুধ মিশ্রিত হলেও এর রং সাদা থাকে।
-
ভেজালযুক্ত দুধ পানির সাথে পাতলা হয়ে যাবে।
৬. গরম করার পরীক্ষা
-
পদ্ধতি: দুধ ফোটান এবং ঠান্ডা হতে দিন।
-
ফলাফল:
-
বিশুদ্ধ দুধ ঠান্ডা হলে ক্রিমের একটি স্তর উপরে জমে।
-
ভেজালযুক্ত দুধে ক্রিমের স্তর কম বা অনুপস্থিত হতে পারে।
৭. দুধের ঘনত্ব মাপা (ল্যাকটোমিটার ব্যবহার)
-
বাজারে সহজলভ্য ল্যাকটোমিটার দিয়ে দুধের ঘনত্ব পরীক্ষা করা যায়।
-
বিশুদ্ধ দুধের ঘনত্ব সাধারণত ১.০২৬ থেকে ১.০৩৬ এর মধ্যে থাকে।
উপরের পদ্ধতিগুলি খুব সহজে ঘরে বসে দুধের মান যাচাই করতে সাহায্য করবে। তবে, ১০০% নিশ্চিত হতে হলে ল্যাবরেটরি পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।