কৃষি কার্যক্রম পরিবেশের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে, যা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিকেই হতে পারে। এখানে কৃষির কারণে পরিবেশে যেসব প্রভাব পড়ে তা তুলে ধরা হলো:
১. মাটি ও ভূমির প্রভাব:
মাটির উর্বরতা হ্রাস: অতিরিক্ত চাষাবাদ এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা কমে যেতে পারে।
মাটির ক্ষয়: ভুল চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে ভূমি ক্ষয় (soil erosion) ঘটে, যা ভূমির গুণমান নষ্ট করে।
লবণাক্ততা বৃদ্ধি: সেচ ব্যবস্থার ত্রুটির ফলে মাটিতে লবণাক্ততা বাড়ে।
২. পানি ব্যবস্থার প্রভাব:
পানিদূষণ: রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ এবং পৃষ্ঠস্থ পানির দূষণ হয়।
পানি অপচয়: সেচের জন্য অত্যধিক পানির ব্যবহার স্থানীয় পানি সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
পানির অভাব: বৃহৎ আকারের কৃষি জমিতে সেচের কারণে আশপাশের অঞ্চলে পানির ঘাটতি হতে পারে।
৩. বায়ু দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন:
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন: গবাদি পশু পালন, ধান চাষ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে মিথেন (CH₄) ও কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) নিঃসরণ হয়।
বায়ুদূষণ: কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ ছড়ায়।
৪. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি:
বন উজাড়: কৃষিজমি তৈরি করতে বন কাটা হলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।
প্রাণীজগতের প্রভাব: রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী পোকামাকড় এবং ছোট প্রাণী হুমকির মুখে পড়ে।
৫. পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব:
সবুজায়ন: সঠিকভাবে কৃষি পরিচালনা করলে গাছপালা এবং সবুজ জমির পরিমাণ বাড়ে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।
মাটির সংরক্ষণ: টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি মাটির গুণমান ধরে রাখতে সহায়তা করে।