তৎপুরুষ সমাস ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিচে তৎপুরুষ সমাস এবং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
তৎপুরুষ সমাসের প্রকারভেদ:
তৎপুরুষ সমাস প্রধানত ৬ প্রকার। নিচে প্রকারভেদ গুলো আলোচনা করা হলো:
-
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে, এরে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বা কর্ম তৎপুরুষ বলে।
-
উদাহরণ: বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন।
-
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ।
-
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের চতুর্থী বিভক্তি (জন্য, নিমিত্ত, উদ্দেশ্যে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা।
-
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে, চেয়ে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: জন্ম থেকে অন্ধ = জন্মান্ধ।
-
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: চায়ের বাগান = চা-বাগান।
-
সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: গাছে পাকা = গাছপাকা।