টাইটানিক জাহাজটি ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে একটি বরফখণ্ডে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এই বিশাল জাহাজটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী বলে মনে করা হতো এবং এর মতো একটি জাহাজ কখনোই ডুবে যাবে না বলে ধারণা করা হতো। কিন্তু প্রকৃতির শক্তির সামনে মানুষের তৈরি কোনো কিছুই অক্ষত থাকতে পারে না।
টাইটানিক ডুবের কারণ:
* বরফখণ্ডের সাথে ধাক্কা: জাহাজটি একটি বরফখণ্ডের সাথে ধাক্কা লেগে এর পাঁজরের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতির ফলে জাহাজে ফুটো হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।
* জাহাজের নকশায় ত্রুটি: জাহাজের নকশায় কিছু ত্রুটি ছিল যার ফলে এটি বরফখণ্ডের ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি। জাহাজের পাঁজর খুব শক্তিশালী ছিল, কিন্তু এটি বরফখণ্ডের ধাক্কা সামলাতে পর্যাপ্ত ছিল না।
* পর্যাপ্ত সংখ্যক বাঁচার নৌকা না থাকা: জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের সংখ্যার তুলনায় বাঁচার নৌকার সংখ্যা অনেক কম ছিল। ফলে অনেক মানুষকে বাঁচাতে পারা যায়নি।
* আবহাওয়া: আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল এবং তাড়াতাড়ি জাহাজকে খালি করার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না।
টাইটানিকের ডুবের ফলে:
* প্রায় ১৫০০ জন মানুষ মারা যায়।
* বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
* জাহাজ নির্মাণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়।
টাইটানিকের ডুব এখনও পর্যন্ত সমুদ্রযাত্রার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রকৃতির শক্তির সামনে মানুষ কতটা ক্ষুদ্র।