আয়াতুল কুরসী হল কুরআনের সূরা আল-বাকারাহ (২:২৫۵)-এর একটি বিখ্যাত আয়াত। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত, যা আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, একত্ব, এবং তাঁর রাজত্বের বর্ণনা দেয়।
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত:
1. আল্লাহর শক্তি ও মহানত্বের ঘোষণা:
আয়াতুল কুরসী আল্লাহর অনন্ত ক্ষমতা, সামর্থ্য এবং তাঁর অধিকারিত রাজত্বের বর্ণনা দেয়। এই আয়াতে আল্লাহর সত্ত্বা এবং তাঁর সীমানা সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
2. রাত্রে এবং দিনে প্রভাব:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তাকে কোনো বিপদ আসবে না, এবং সে আল্লাহর হেফাজত এবং নিরাপত্তা লাভ করবে (সহীহ মুসলিম)।
3. আল্লাহর কাছ থেকে শান্তি ও সুরক্ষা:
আয়াতুল কুরসী একটি খুবই শক্তিশালী আয়াত হিসেবে বিবেচিত। এটি পাঠ করলে আল্লাহর কাছ থেকে শান্তি ও সুরক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষত, এটি বাড়িতে বা নিত্যদিনের জীবনে খারাপ শক্তি, শয়তান ও অপকারিতা থেকে রক্ষা করার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
4. মৃত্যুর পর সুরক্ষা:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে শোবার আগে আয়াতুল কুরসী পড়বে, আল্লাহ তাকে সেই রাতের জন্য হেফাজত করবেন এবং শয়তান তার কাছ থেকে দূরে থাকবে (সহীহ বুখারি)।
5. শিরক থেকে মুক্তি:
আয়াতুল কুরসী শিরক এবং অন্য যেকোনো রকমের পাপ থেকে মুক্তি লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাস এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের স্থায়িত্বের জন্য উপকারী।
আয়াতুল কুরসী একভাবে কুরআনের সবচেয়ে মহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ আয়াত হিসেবে গণ্য করা হয়।