নিউটনের তৃতীয় গতির সূত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছিল জ্ঞানগত পর্যবেক্ষণ এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে। এটি ছিল তার অভূতপূর্ব কাজ Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica (যা ১৬৮৭ সালে প্রকাশিত হয়) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সূত্রটি বলছে:
"প্রত্যেক ক্রিয়ার জন্য সমান এবং বিপরীত এক প্রতিক্রিয়া থাকে।"
অর্থাৎ, যখন একটি বস্তু অন্য কোনো বস্তুর ওপর শক্তি প্রয়োগ করে, তখন দ্বিতীয় বস্তুটি প্রথম বস্তুর প্রতি সমান আকারে কিন্তু বিপরীত দিশায় শক্তি প্রয়োগ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি দেয়ালের দিকে বল দিয়ে ধাক্কা দেন, তাহলে দেয়ালও আপনাকে সমানভাবে, কিন্তু বিপরীত দিকে ধাক্কা দেয়।
নিউটন তার তৃতীয় গতির সূত্রটি আবিষ্কার করেন তার গতির সূত্রের একটি অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, পৃথিবীতে কোনো বস্তুর চলাচল বা গতির ফলে অন্য একটি বস্তুর ওপর প্রতিক্রিয়া ঘটে। তার পর্যবেক্ষণ ছিল, একে অপরকে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পর্কিত করতে হবে। এই সূত্রটি কেবল দৈনন্দিন জীবনে ঘটে এমন ঘটনা থেকেই নয়, বরং মহাকাশের বিভিন্ন গতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেমন রকেটের উড্ডয়ন বা স্যাটেলাইটের চলাচল।
তৃতীয় সূত্রটি নিউটনীয় গতি সম্পর্কিত আরও দুটি সূত্রের মতো বৈজ্ঞানিক বিশ্বকে নতুন ধারণায় ভরপুর করে, এবং তা বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং প্রযুক্তিগত ঘটনার বিশ্লেষণে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।