আপনার বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা বিবেচনা করা প্রয়োজন:
1. ব্রেডিকন পিল: ব্রেডিকন পিল (অথবা অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল) নিয়মিতভাবে সঠিকভাবে খেলে, এটি গর্ভধারণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তবে, আপনি গত ৪ দিন পিল খাইনি, যা আপনার জন্মনিয়ন্ত্রণের সুরক্ষা কমিয়ে দিয়েছে।
2. ইমারজেন্সি পিল (ইমিকন): আপনি ইমারজেন্সি পিল নিয়েছেন, তবে ২৪ ঘণ্টার পর এটি নেওয়া হলেও, এটি কার্যকরী হতে পারে, তবে তার প্রভাব কিছুটা কম হতে পারে। সাধারণত ইমারজেন্সি পিল যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নেওয়া হয়, তবে এটি 95% পর্যন্ত কার্যকরী, তবে পরবর্তী 24 থেকে 72 ঘণ্টার মধ্যে নেওয়া হলে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
3. ব্লিডিং না হওয়া: ইমারজেন্সি পিল নেওয়ার পর কিছু রক্তপাত হতে পারে, যা সাধারণত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ঘটে। যদি রক্তপাত না হয়, তা তেমন উদ্বেগজনক নয়, তবে এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গর্ভধারণের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করা সম্ভব নয়।
গর্ভধারণের ঝুঁকি:
আপনি যে পরিস্থিতিতে আছেন (পিল খাওয়া বন্ধ, কন্ডম ফেটে যাওয়া, এবং ইমারজেন্সি পিল নেওয়া), তাতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে, তবে ইমারজেন্সি পিল সাধারণত গর্ভধারণ রোধে সহায়ক হয়, বিশেষ করে যদি এটি সঠিক সময়ে নেওয়া হয়। তবে, ২৪ ঘণ্টার পর নেওয়ার কারণে কিছুটা ঝুঁকি থাকতে পারে।
আপনি যদি মাসিক পিরিয়ডের অনিয়মিততা বা অন্যান্য লক্ষণের কারণে আরও শঙ্কিত হন, তবে একটি গর্ভধারণ পরীক্ষা করতে পারেন, অথবা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
সংক্ষেপে, ইমারজেন্সি পিল গ্রহণের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি কিছুটা কমে গিয়েছে, তবে ২৪ ঘণ্টার পর নেওয়া হলেও পুরোপুরি নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। আপনি যদি মাসিকের সময় বা গর্ভধারণের লক্ষণ দেখেন, তাহলে গর্ভধারণ পরীক্ষা বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উপযুক্ত হবে।