বাঁশকে ঘাস বলা হয় কারণ এটি উদ্ভিদ বিজ্ঞানে Poaceae (গ্রামীণ বা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ) পরিবারভুক্ত একটি উদ্ভিদ। বাঁশের গঠন এবং বৃদ্ধি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়। এর কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলো:
১. উদ্ভিদগত শ্রেণিকরণ:
বাঁশ Poaceae পরিবারের সদস্য, যা মূলত ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের পরিবার। এই পরিবারে অন্যান্য উদ্ভিদ যেমন ধান, গম, এবং ভুট্টাও অন্তর্ভুক্ত।
২. কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য:
বাঁশের কান্ড (stem) বা কাণ্ড ফাঁপা ও গিঁটযুক্ত, যা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
এটি গুচ্ছ আকারে বৃদ্ধি পায়, যা ঘাসের মতো।
৩. দ্রুত বৃদ্ধি:
বাঁশ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। কিছু বাঁশের প্রজাতি দিনে প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
৪. বংশবিস্তার:
বাঁশ মূলত রাইজোম (rhizome) নামক মাটির নিচের গুচ্ছাকার শিকড়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। ঘাস জাতীয় উদ্ভিদেরও একই বংশবিস্তার প্রক্রিয়া রয়েছে।
৫. বীজ উৎপাদন:
বাঁশের কিছু প্রজাতি কয়েক দশক পরে ফুল ফোটায় এবং বীজ উৎপন্ন করে, যা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
৬. কাঠ নয়, ঘাস:
বাঁশ দেখতে কাঠের মতো হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে ঘাস। বাঁশে সেকেন্ডারি গ্রোথ বা বৃদ্ধির স্তর থাকে না, যা প্রকৃত গাছের কাঠে দেখা যায়।
বাঁশ ঘাস এবং গাছের মধ্যে একটি বিশেষ অবস্থানে রয়েছে। উদ্ভিদগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে ঘাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে এর কাঠের মতো গঠন এবং ব্যবহার এটিকে একটি বিশেষ উদ্ভিদে পরিণত করেছে।