দেশীয় প্রচলিত পদ্ধতিতে জমি বন্ধক নেওয়া ইসলামে জায়েজ নয়। কারণ, এই পদ্ধতিতে সাধারণত সুদ গ্রহণ করা হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
ইসলামে জমি বন্ধক নেওয়ার দুটি বৈধ পদ্ধতি রয়েছে:
* খায়খালাসী বন্ধক: এই পদ্ধতিতে, ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে জমি বন্ধক হিসাবে গ্রহণ করে এবং জমির মালিকানা তার নিজের কাছে রাখে। ঋণগ্রহীতা জমির ভোগ করতে পারে, তবে তাকে ঋণের পরিমাণের সমান বা তার চেয়ে কম কিছু পরিমাণ অর্থ প্রদান করে জমি খালাস করতে হবে।
* রহন বন্ধক: এই পদ্ধতিতে, ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে জমি বন্ধক হিসাবে গ্রহণ করে এবং জমির মালিকানা ঋণগ্রহীতার কাছেই রেখে দেয়। ঋণগ্রহীতা জমির ভোগ করতে পারে এবং ঋণ পরিশোধ করার পর জমির পূর্ণ মালিকানা লাভ করে।
দেশীয় প্রচলিত পদ্ধতিতে জমি বন্ধক নেওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে:
* সুদ গ্রহণের সম্ভাবনা: এই পদ্ধতিতে, ঋণদাতা প্রায়শই ঋণের উপর সুদ গ্রহণ করে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
* জমি হারানোর ঝুঁকি: ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ঋণদাতা জমিটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
* অস্বচ্ছতা: এই পদ্ধতিতে, ঋণের শর্তাবলী প্রায়শই অস্পষ্ট থাকে, যার ফলে ঋণগ্রহীতা শোষিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
জমি বন্ধক নেওয়ার আগে, একজন মুসলিমের উচিত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা এবং ইসলামী শরীয়তের নীতিগুলি অনুসরণ করা।