কালকেই মেডিক্যাল থেকে আসলাম। কালকেও সে মেসেজ দিয়ে বলে ম্যাম মারা গেছে। আবার এখন কল দিয়ে বলছে ম্যাম রাতে মারা গেছে। মাথা ঘুরে উঠল আবার আমার। কেও কি খেলছে আমার সাথে , নাকি তারায় কোন পরিকল্পনা করে আমাকে বিরক্ত করছে। কোন কিছুই মাথায় খেলছে না। কিছু একটা জানার জন্য যখন সাব্রিনা কে কল দিতে যাব, ম্যাম তখন ঘুম ভেঙ্গে সোফায় উঠে বসে। সকাল সকাল এই চেহারাটা দেখার পরে সুন্দর ভাবে উপভোগ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেদিকে তাকিয়েও কিছু হচ্ছে না আবারও। তার পাশেই যেতে ইচ্ছে করছে না আমার।
আমি তখন পাশে থেকে ম্যামের শাড়ি শরীরে হালকা করে দিয়ে জানালার পাশে যাই। মাথা ঝিম ধরে আছে আমার। কিছু একটা হচ্ছে। কিন্তু কি হচ্ছে কেন হচ্ছে কোন ভাবেই খুঁজে পাচ্ছিনা। পর পর দুইদিন হতে চলল । আমি একটা মেসেজ আর একটা কাহিনীর মাঝেই আঁটকে আছি। ম্যাম মারা গেছে। কেও মারা গেলে কীভাবে এখনও সে আমার পাশে থাকে ? কীভাবে সেই মৃত শরীরের আত্মার মাঝে উষ্ণতা থাকে? কীভাবে সে সব উপলব্ধি করতে পারে ? আদৌ কি সেই ইরাকের রূপকথার সঠিক ব্যাখ্যা বাস্তব জীবনে আসবে? আসার কথা না । এই প্রশ্ন শেষে আরও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তাহলে কার রাতের সেই মেয়েটা কে ছিল? যে নাইটি পরে বাথরুমে ঢুকে গায়েব হয়ে গেল।
এসব প্রশ্ন নিজেকে করে একদম চুপ হয়ে গেলাম মনের ভেতরে।
ম্যাম সোফা থেকে উঠে এসে পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরে আমাকে। তাঁর ঘুম ঘুম এখনও আছে। খোলা বুক যখন আমার খোলা পিঠে চাপ লেগেছিল, কিছুটা অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করেছিলাম। কিন্তু মাথায় হাজার প্রশ্ন নিয়ে আজকে আর এখানে থাকতে পারছিনা। ফাদারের কাছে যাওয়া খুব জরুরী।
ম্যাম তখন আমার বুকে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করে, এভাবে চুপ চাপ হয়ে বাহিরে কি দেখছ?
কোন উত্তর দিলাম না। প্রশ্নটা শুনেও না শোনার ভান করে আছি।
ম্যাম তখন বাম দিকে খামচে ধরে আবারও জিজ্ঞেস করে, কি হল, কিছু বলছনা কেন ?
সকালের বাতাস টা ভাল লাগে আমার। সেই কারণে একটু বাতাস টানছি।
ম্যামের কণ্ঠেও ঘুম মেখে আছে। ঘুমাতুর কণ্ঠে সে বলে, তোমার শরীরে আমার শাড়ি ভালই লাগছে। গোসল করবা না ?
হুম করতেই হবে । করিয়ে দিবেন ?
আমার এনার্জি নাই। কালকে সব শুষে নিয়েছ তুমি। তুমি নিয়ে নিয়ে চল। অনেক কষ্টে তোমার পিঠ পর্যন্ত উঠে আসলাম।
আপনার ঘুম তো মনে হচ্ছে এখনও বাকি। আর একটু ঘুমিয়ে নেন।
একটু জড়িয়ে ধরবা?
আমি তখন ঘুরে গিয়ে ম্যামের দিকে মুখ নিলাম। ভারী মিষ্টি লাগছে। এরকম চেহারা আগে দেখা হয়নি কখনও । দেখার সুযোগ তো হয়নি। এই প্রথম ছিল জীবনের। আর এই প্রথমেই যেন সব আষাঢ় নেমে এসেছে। আমি হালকা করে মুখ উঠিয়ে ঠোঁটে চুমু এঁকে বললাম, আর একটু ঘুমিয়ে নেন ?
উহু না। ফ্রেশ হয়ে তারপরে দেখা যাবে। আবার সকাল সকাল কি হয়েছে তোমার? মেয়ে মানুষের মত এতো মুড লাফাই কেন ? স্থির থাকতে পারো না?
ওমা , কি পরিবর্তন হল?
সকাল সকাল কিনা আগের রাতের মত থাকবে তা না। কি চাপচাপি শুরু করেছে। মনে হচ্ছে এখনি পালানোর ধান্দা।
আস্তে করে ম্যামের ঘাড়ের মাঝে মুখ ঢুকিয়ে দিলাম। হালকা করে জিহ্বা দিয়ে চেটে দিলাম সেখানে। সামান্য জিহ্বার স্পর্শেই কেঁপে উঠেছিল তাঁর পুরো শরীর। ডান হাত দিয়ে স্তনে শক্ত একটা চাপ দিয়ে বললাম, বাকিটা গোসলে দিব। এখন একটু শক্ত হয়ে বাথরুমে যান। আমি একটা কল শেষ করে আসছি।
ম্যাম বুকে একটা চুমু খেয়ে বলে, বেশী দেরি যেন না হয়।
একদম না।
কথা টা বলে ম্যাম কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে চোখের আড়াল হয়ে যায়। দেহের তুলনা হয়না। আর এমন নগ্ন দেহ আগে দেখই হয়নি কখনও। অহ গড। সেভ মি।
শাড়িটা ফেলে দিয়ে যখন সাব্রিনাকে কল দিতে যাব। ঠিক তখন দেখি যে বাসার সামনে দুটো কালো গাড়ি এসে থামে। আশে পাশে বাড়ি কম। আর লেনা ম্যামের আশে পাশে থেকে কমপক্ষে আড়াইশ গজ দূরে অন্য বাড়ি গুলো। আর গাড়িটা এসে থেমেছে এই বাড়ির সামনেই। কিন্তু যারা গাড়ি থেকে নামছে, তাদের কে দেখে আমার পশম দাঁড়িয়ে যায়। এরা হলঙ্কা এলাকার নাম করা বাইকার গ্রুপ। যাদের বেশির ভাগ কিনা ক্রাইমের সাথেই জড়িত। আমি এক মুহূর্ত সেখানে দাঁড়ালাম না। সোজা দৌড় দিলাম পাশের রুমে। পাশের রুমে গিয়ে দেখি ম্যাম নেই। বুঝেই গেছি ম্যাম বাথরুমে। আমি যখন আচমকা নগ্ন হয়ে এরকম ভয়ার্ত মুখ নিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম, ম্যাম তখন কমোডে।
আমাকে এরকম বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে ম্যাম জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে ? এরকম অস্থির হয়ে আছ কেন ?
ম্যাম জলদি করেন। এখানে আর এক মুহূর্ত থাকা ঠিক হবেনা।
কি হয়েছে ? কেন ঠিক হবেনা ?
উফ ম্যাম । আমি পরে সব বলব। জলদি উঠুন।
ভাজ্ঞিস ম্যাম পস্রাব করছিল। গড বাচিয়ে দিয়েছে অন্য কিছু শুরু করেনি। হাত মুখ ধোয়া সব বাদ। আলমারি খুলে ম্যাম কে একটা গেঞ্জি আর একটা প্যান্ট পরিয়ে দিয়েছি। এর মাঝেই দরজায় আওয়াজ। আমার বুক ধরাস করে উঠে একদম। মেইন দরজা খোলা ছাড়া এখানে আসা একদম অসম্ভব। তারা কীভাবে এখানে এলো ? ম্যাম আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ম্যাম আমাকে জিজ্ঞেস করে, কারা এসেছে? কাদের কে আসতে দেখেছো তুমি ?
সব কথা পরে হবে। এই দরজা বাদে আর কোন দরজা আছে ? যেখান দিয়ে বের হওয়া যাবে ?
না। এটাই এক মাত্র।
কি বলছেন ?
এতো বড় বাড়ি? কোন আলাদা রাস্তা নাই ?
নাহ। কিন্তু কেন তুমি খুঁজছ এটা?
এসব কথা বলার কোন সময় নাই এখন।
বাহির থেকে তারা চিৎকার করতে শুরু করে দরজা খোলার জন্য। ম্যাম ভয় পেয়ে আমার বাহু চেপে ধরে জিজ্ঞেস করে, রেনাস কারা এসেছে? এভাবে দরজা বাড়াচ্ছে কেন ?
আমিও তাকিয়ে আছি একভাবে দরজার দিকে।
আমি ম্যামের হাত সরিয়ে যখন দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম বড় লকটা লাগাতে। সেই সময়ে তারা সজোরে ধাক্কা দিয়ে ছোট লকটা চুরমার করে ভেঙ্গে ফেলে।
এভাবে যে নতুন করে আরও একটা বিপদ মাথায় চড়ে বসবে একদম কল্পনা করতে পারিনি। কিন্তু এতো জনের বিপক্ষে লড়ায় করার না কোন প্রুস্তুতি আছে না কোন হাতিয়ার। কিছু বুঝে উঠার আগে মাথায় আচমকা একটা হকিস্টিক উড়ে এসে লাগে। হারিয়ে ফেললাম আমার হুঁশ। শেষ মুহূর্তে শুধু বুঝতে পেরেছিলাম যে, ম্যাম চিৎকার করে উঠেছিল। আর চিৎকার করে বলেছিল যে, তুমি এখনও বেঁচে আছ? তুমি ওকে মেরে ফেললে কেন ? ম্যামের আত্মচিতকার শুনতে শুন্তেই চোখ বন্ধ হয়ে গেছিল।
কিন্তু এর পরে যখন আমার চোখ খুলে যায়। অদ্ভুত একটা জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করি আমি। আমার দু হাত বাধা। পাও বাধা আছে কোমরের সাথের শক্ত করে। তাতেও হয়ত কষ্ট পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আমি যখন দেখলাম যে , ম্যাম আমার সামনে অর্ধনগ্ন আর র-ক্তা-ক্ত অবস্থায় কাৎরাচ্ছে। আমার বুকটা ছিঁড়ে গেছিল। আমি অনেক কষ্টে ছেঁচরে ছেঁচরে কোন ভাবে ম্যামের পাশে গিয়ে নিজেকে রাখতে পারি। আমার চোখে পানি চলে আসে। যেই মুখটাতে আজ সকালেও চুমু খেয়েছি। সেই মুখটাতে তাজা র-ক্ত মেখে আছে। চেহারায় বদলে ফেলেছে আঘাতে আঘাতে। চোখটা খুলে সে তাকাতে পর্যন্ত পারছেনা। আমি কাঁপা কাঁপা গলা নিয়ে এই প্রথম শুধু তাঁর নামটা ধরে ডাকলাম। লেনা, আমি তোমার পাশে আছি। একটু সহ্য কর প্লিজ। একটু । আমি তোমাকে উদ্ধার করব। আমিও কথা বলতে পারছিনা কষ্টের জ্বালায়। গলা ব্যাথা হয়ে আসছে আমার। কোন পিশাচের হাতে এসে গেছি আমরা।
আমার কথা বলাই যেন উচিৎ হয়নি। আমার কণ্ঠ শুনতে পাওয়া মাত্রই যেন লেনার শরীর কাঁপা আরও বেড়ে যায়। আঘাতের ভারে সে নড়তে পর্যন্ত পারছেনা। আমি শুধু কাঁদতে কাঁদতে এতটুকুই বললাম, দয়া করে নরিওনা। আমার অনেক অনেক কষ্ট হচ্ছে।
সে কোন ভাবে আর হাতটা আমার গালে লাগিয়ে রাখতে পেরেছিল। এই সময়ে দেখি ম্যামের স্বামী আমার চোখের সামনে একদম জীবন্ত অবস্থায়।
আর ম্যামের স্বামীকে দেখে ম্যাম আরও কাঁপতে শুরু করে। গোঙ্গানির শব্দে বার বার বলতে থাকে, রেনাসের কোন ক্ষতি করবেনা। আমি সব দিয়ে দিব। সব দিয়ে দিব।
আমি এই মুহূর্ত কোন দিকের ধাক্কা সহ্য করব একদম বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমার সামনে ম্যামের স্বামী জীবন্ত অবস্থায়। আর আমার সামনে আমার ভালোবাসা রক্তাক্ত অবস্থায়।
একটা বিকট হাঁসি হেসে তাঁর স্বামী পাশের একজনকে বলছে, দেখো দেখো । কত ভালোবাসে তারা একে অপরকে। শালা এই ভালবাসাটাই সহ্য হয়না আমার। এই মেয়েকে ভালবাসার কি আছেরে বাল ? তুই ও শেষ হবি। কারণ, তুই হলি আমার দ্বিতীয় কাঁটা।
পেছন দিয়ে দুজন এসে আমাকে পেছনে টেনে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার করতে থাকি। লেনাকে ছেড়ে দাও। যা ইচ্ছা আমাকে কর। আর তোমরা কেনইবা তাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছ।
ম্যামের স্বামী হাতে একটা গরম রড নিয়ে ধীরে ধীরে রুমে ঢুকতে থাকে। কিন্তু সে কোন ভাষায় কথা বলতে থাকে, আমি কিছুই বুঝতে পারিনা। সে লেনার সামনে এসে সেটা একদম তাঁর পিঠের উপরে বসিয়ে দেয়। বেচারি লেনা এই কষ্টে চিৎকার পর্যন্ত করতে পারছেনা। আমি পচেতন থাকা অবস্থায় তাকে যে কোন পর্যায়ে নির্যাতন করেছে টা আমি খুব ভাল করেই আন্দাজ করতে পেরেছি। আমি দেখচি সে চিৎকার করার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছে। তবুও সে চিৎকার করতে পারছেনা। কাঁপছে সে থর থর করে। আমিও এই দৃশ্য আর এক মুহূর্ত সহ্য করতে পারলাম না।
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের সাথে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, লেনা তুমি মারা গেছ। লেনা তুমি মারা গেছ। তুমি এই জগৎ থেকে চলে যাও। চলে যাও লেনা। আমি সহ্য করতে পারবোনা তোমার এই র-ক্তা-ক্ত চেহারাটা। লেনা চলে যাও তুমি।
আমি তাকিয়ে আছি। সে খুব আক্ষেপের নজরে কেন যেন আমার দিকে তাকালো। যেন আমি শেষ পর্যন্ত অনেক বড় অপরাধ করে ফেললাম। উপস্থিত সবার সামনেই লেনা ধীরে ধীরে অদ্রিশ্য হয়ে যেতে শুরু করে। তবুও সে সেই একভাবেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একদম শেষ আলো থাকা অবস্থায় সে আমাকে বলে, ভালোবাসা তুমি যতক্ষণ চাইবা আর যতক্ষণ ধরে রাখবা। সে তোমার কাছে ততক্ষন জীবিত। যখনি তুমি তাঁর জন্য বা নিজের জন্য ছেড়ে দিবে ওপর পাশের কাওকে। সে মৃত ব্যাক্তির মতই তোমার থেকে হারিয়ে যাবে।
লেনা চোখের সামনে থেকে হারিয়ে যায় একদম।
এমনটা দেখে সবাই যেন অস্থির হয়ে উঠে। ম্যামের সামনে সেই রড নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, সে যেহেতু চলে গেছে , তাহলে তুই বাকি আছিস একমাত্র। আর কোন ঝামেলা নেই।
ম্যামের স্বামী যখন আমার দিকে এগিয়ে আসতে যাবে। ঠিক তখনি পেছন থেকে একজন মাস্ক পরহিত লোক এসে তাকে থামিয়ে দেয়। সে তখন গম্ভীর কণ্ঠে বলে, কাহিনীর পাতা এখনও শেষ হয়নি। যেটা চাই আমরা। সেটা এখনও পাইনি। তাকে জীবিত রাখো। তবে এখন সে মৃত থাকবে। একটা ঘুষিতে সব কিছুই বন্ধ হয়ে গেল।
পাশে মাইকেল আর সাব্রিনা সহ আরও বেশ কয়েকজন বসে ছিল রেনাসের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেনাস এমন ভাবে চিৎকার করে উঠল ঘুমন্ত অবস্থা থেকে , যেটা দেখে পাশের একজন বড় ডাক্তার অবাক হয়ে যায়। রেনাস ঘুম থেকে উঠেই মাইকেল কে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করতে থাকে, মাইকেল, ওখানে ম্যামের স্বামী ছিল। আমি আজকেও দেখেছি। এই স্বপ্ন আমি আজকেও দেখেছি। মাইকেল তুই আমার কথা বিশ্বাস কর। আমাকে এভাবে হেলা ফেলা করিস না।
বড় ডাক্তার রেনাসকে মাত্রই চেক করে তাঁর জন্য একটা প্রেসক্রিপশন লিখে বিদায় নিতে চলেছিল। সে রেনাসের এমন আচরণ দেখে মাইকেল কে বলে, সে কি এর আগে এভাবে কখনও স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছিল?
মাইকেলের উত্তর দেওয়ার আগে যখন সাব্রিনা উত্তর দিয়ে দিতে যাচ্ছিল, মাইকেল তাঁর কথার উপরে বলে । না না , এরকম সে মাঝে মাঝেই বলে, বুঝতেই তো পারছেন কত বড় একটা আঘাত পেয়েছে সে। মানসিক ভারসাম্য হারানোর পরে সে ঘুম থেকে উঠার পরে প্রায় চিৎকার করে উঠে এভাবে। এটা নতুন নয়। আপনি আজকের জন্য ঔষধ দিয়ে যেতে পারেন।
তবে সে কিসের কথা বলছে?
মাইকেল সবার সামনে এভাবে কথা বলতে চাইছিল না। সে তখন ডাক্তারকে বাহিরে নিয়ে চলে আসে।
ডাক্তার টা ছিল শহরের বেশ বড় একজন মানসিক ডাক্তার। কিন্তু এর মাঝে এমন একটা জিনিস আছে, যেটা সে জানেনা। মাইকেল তাকে বলে, দেখুন, এই বিষয়ে আর বেশী মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আপনাকে সাব্রিনা এনেছে, আপনি এসেছেন। ঔষধ দিয়েছেন। তবে আর আসার প্রয়োজন নাই। বাকিটা আমি তাকে বুঝিয়ে বলব।
ডাক্তার তখন বলে, তবে দেখুন। রেনাস কিন্তু ঠিক আছে মনে হচ্ছে।
সেটা আপনাকে আমি বলতে বলিনি। আপনি আর আসবেন না। ধন্যবাদ।
ডাক্তার আর কোন কথা না বাড়িয়েই সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু পেছনের দৃশ্যে মাইকেল তাঁর মুখে মারাত্মক একটা ভয়ঙ্কর হাঁসি দেয়। যা অনেক কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
লেখক: আহিল আহমেদ
#চলবে_____________