শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক জেলা যা ঢাকা বিভাগের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য পরিচিত।
শরীয়তপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
1. ভৌগোলিক অবস্থান:
শরীয়তপুর জেলা ঢাকা বিভাগের একটি অংশ এবং এটি ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
জেলার দক্ষিণাংশে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর এবং চাঁদপুর জেলা অবস্থিত।
শরীয়তপুর নদী, খাল ও অন্যান্য জলাশয়ের জন্য পরিচিত, এবং মেঘনা নদী তার মধ্যে একটি প্রধান নদী।
2. উপজেলা:
শরীয়তপুর জেলা ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত:
1. সদর
2. নড়িয়া
3. ভেদরগঞ্জ
4. জাজিরা
5. চরভদ্রাসন
6. গোসাইরহাট
7. পাথরঘাটা
3. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
শরীয়তপুর জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, বিশেষ করে নদী এবং খালের কারণে এটি একটি সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গঠিত।
মেঘনা নদী ও তার শাখা-প্রশাখাগুলি এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং মাছ চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
4. ঐতিহাসিক স্থান:
শরীয়তপুরে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে, তবে এর প্রধান আকর্ষণ সাধারণত তার গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও নদীভিত্তিক অর্থনীতি।
এখানে কয়েকটি পুরনো মসজিদ এবং মাজারও রয়েছে, যা ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে।
5. অর্থনীতি:
শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক খাত হল কৃষি। ধান, পাট, আখ, তেলবীজ, এবং নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়।
মাছ চাষ এবং নদীভিত্তিক ব্যবসাও এখানকার মানুষের জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শরীয়তপুরের মৎস্য শিল্পে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং এখানকার মাছ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।
6. জনসংখ্যা:
শরীয়তপুর জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখের বেশি (২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)।
7. সাংস্কৃতিক জীবন:
এখানকার মানুষ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে, যেমন পল্লী সংগীত, লোকনৃত্য, এবং মেলার আয়োজন।
ঐতিহ্যবাহী বাংলা পোষাক এবং খাবার এখানকার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ।
শরীয়তপুর জেলা তার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সমৃদ্ধ জেলা যা তার মানুষের সরল জীবনধারা এবং নদীভিত্তিক সংস্কৃতির জন্য পরিচিত।