সে খামটা ডাইনিং রুমের ভেতরে এনে খুলে। কিন্তু সে অন্তত এটা আশা করেনি। ভেতরে রেনাসের নামে একটা কাগজ। আর বাকি গুলো পুরো কম্পানির ভার আর চ্যারিটির সকল পেপার। সব গুলই লেনা ম্যাম রেনাসের নামে করে দিয়েছে। আর কাগজটা এতই ক্ষমতাবান ছিল যে, টা যে কোন উইলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। শুধু রেনাসের একটা সাক্ষরে সে সব ক্ষমতা নিতে সক্ষম।
রেনাস কাগজ গুলো সামনের টি টেবিলে রেখে সোফাতে হেলান দিয়ে বসে। দুই হাত দিয়ে মাথায় চাপ দিয়ে মনে মনে বলে, এই কাগজের বদলে যদি তুমি সারা জীবন আমার কাছে থেকে যেতে। এই কাগজের কোন মুল্য নেই আমার কাছে। এমন কি এই দায়িত্বের ভার টাও আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না।
রেনাস আবার মাথা নামিয়ে সব কাগজ ঘেঁটে দেখতে থাকে। যদি একটা সান্ত্বনামূলক চিঠি পেত। কিন্তু নেই। কারণ লেনা এসব জীবিত থাকা অবস্থায় দিয়ে দিত। তখন হয়ত কারণ কিছুটা হলেও বলত।
কি মনে হতে পাশের সেই পুরনো ডাইরিটা খুলে রেনাস। ডাইরি হাতে নিয়ে রেনাস হীনাকে বলে, তুমি এখন ঘুমিয়ে যাও। কালকে সকালে কথা হবে।
একটা কথা জিজ্ঞেস করব আপনাকে ?
এগুলো কিসের কাগজ ?
কালকে বলি ?
আচ্ছা শুভ রাত্রি।
অদ্ভুত ভাবে এতো মোটা ডাইরির সব গল্প আর সব লিখা পানিতে ডুবিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে। অস্পষ্ট লিখা গুলো বুঝাই যাচ্ছেনা। একটার পর একটা পৃষ্ঠা উলটাতে থাকে রেনাস। কোন লেখাই বুঝা যাচ্ছেনা। একদম শেষ পৃষ্ঠায় চোখ আঁটকে যায় রেনাসের।
" জীবনের সব গল্প মুছে দিলাম। আজকে আমি রেনাসের কাছে সম্পন্ন ভাবে তুলে দিব। নিজের কাঁধের বোঝা তুলে দিব। কি বা দরকার মেয়ে হয়ে এতো কষ্ট করার। বহু করেছি। আর না। মনের মত সে এখন তৈরি হয়েই গেছে। বেশ সুপুরুশ। আহ, এখন দূর থেকে দেখলেই জল চলে আসে। তবে আর দূর থেকে দেখা লাগবেনা। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা লাগবেনা। সব পেয়ে যাবো সারা জীবনের জন্য। একটা সিম্পল গল্প থাকবে সাধারণ এই জীবনে। আমি তার বুকে। সে আমার গলার নিচে। বাকি দেহ থাকবে যেখানে ইচ্ছা। ভাল থেকো আমার গল্পের গহিনের ডাইরি। শুভ বিদায় তোমার থেকে। তবে কখনও মিস করবনা তোমাকে আমি কখনও।"
রেনাসের চোখ থেকে টপ করে একটা ফোঁটা জল পড়ে ডাইরির শেষ পাতায়। রাগের চোটে ছুড়ে মারে ডাইরি। দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে চাপা কান্নায় বার বার বলে, তবুও শেষ হয়ে গেল সব। একটাকেও ছাড়বনা। একটাকেও না।
কান্নায় কান্নায় কখন যে সেই সোফাতেই গভীর ঘুমে সে মগ্ন হয়ে গেছে , জানাই নেই। সকালে ঘুম ভাঙ্গে হীনার হাতের স্পর্শে।
ঘুম ভাংতেই রেনাস বলে, একটা কাগজ নিয়ে আসো।
হিনা তার ব্যগ থেকে একটা কাগজ এনে রেনাস কে দেয়। রেনাস সেখানে একটা ঠিকানা আর কয়েকটা মোবাইল নাম্বার লিখে হীনাকে বলে, এখানের সবাইকে কল দিয়ে এই ঠিকানায় আসতে বো জরুরী ভাবে। বলবে যে মাইকেল ডেকেছে। আর মাইকেল খুব জরুরী কাগজ পেয়েছে। যদি জিজ্ঞেস করে কিসের কাগজ। বলবে যে , রেনাসের সাক্ষরবিহীন একটা জমির কাগজ। তারপরে জলদি তৈরি হও , সাথে সব নিয়ে নাও। একটা গাড়ি আসবে। সাথে হয়ত একজন মেয়েও আসতে পারে। তার সাথে অফিসে গিয়ে এই কাগজ সাবমিট করে দিবে। সাবমিট হওয়ার আগে এই কাগজ খুলেও দেখবেনা।
হিনা তার রুমে চলে যায় কাগজটা নিয়ে। রেনাস তখন ফোন করে অনেক আগের এক বান্ধবি মিলিনাকে। লম্বা সময় ধরে কথা হয় তাদের। তবে মূল কথায় রেনাস বলেনা। কারণ সেই জায়গায় গেলে হিনা নিজেই বুঝতে পারবে কাজটা কি। আর কোথায় যাওয়া লাগবে সেটা আবার মিলিনা ভাল করেই জানে। আর যারা কাগজ পাবে তারাও সহজ ভাবে বুঝে যাবে। এই কাজ নিয়ে রেনাসের তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। সে ভাবছে অন্য কিছু।
হিনা কিছুক্ষণ পরে তৈরি হয়ে এসে রেনাস কে বলে, আমি তৈরি হয়ে গেছি। আমি কি কোন জরুরী কাজে যাচ্ছি ?
হ্যাঁ। আর কাজ শেষে তুমি মিলিনার সাথেই থাকবে। আমি রাতের মধ্যে নাইন রেড রোডে তোমার জন্য অপেক্ষা করবে। যেহেতু রাতেই আমাদের জাহাজ। কাজ হয়ে গেছে ? সবাইকে বলেছ?
হ্যাঁ, সবাই আসতে চলেছে।
রেনাস হীনাকে রেখে বাসার এদিকে ওদিকে ঘুরতে থাকে। কিছু সময় পরে মিলিনাও চলে আসে। হীনাকে বিদায় দিয়ে দেয় রেনাস।
সে নিচে নেমে দরজাটা একদম ভাল ভাবে খুলে দেয়। যেন এটা অটোম্যাটিক ভাবে না লেগে যায়।
দেখতে দেখতে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে যায়। রেনাস তখন ডাইনিং এর সোফাতে ঝিমুচ্ছিল। এসময়ে একসাথে বেশ কয়েকটা গাড়ির আওয়াজ পায় রেনাস। উঠে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল না তার। উপরে আসলে তো দেখাই যাবে।
ধীরে ধীরে একে একে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু ম্যামের স্বামী যখন প্রবেশ করে রুমের ভেতরে, সে যেন তার চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিল না। বিস্ময়কর কণ্ঠে সে বলে উঠে, " রেনাস?"
রেনাস তখন চোখ বন্ধ করেই উত্তর দেয় , কে রেনাস? আমি তো রেনাস না। আমি হলাম লেনার ভালোবাসা।
পাশে থেকে তখন সাদা কাপড়ের লোকটা বলে উঠে," মাইকেল আমাদের সাথে ডাবল গেম খেলেছে।" মাঝে আমাদের এতো এতো মিলিয়ন ইউরো শেষ।
রেনাস এক ঝলকেই বুঝে যায় যে এটা কে ! সে তখন তার দুই পা এক সাথে করে বলে উঠে, আমি জানতাম না। বিশ্বাসও করতে পারছিনা, চার্চের সম্মানিত ফাদারও কিনা এই চক্রান্তের সাথে জড়িত।
সে রেগে গিয়ে তার মাথার কাপড় সরিয়ে রেনাসের দিকে আঙ্গুল তাক করে বলে, একদম মুখ সামলে কথা বলবে। আমরা কোন অপবিত্র লোকের কাছে এসব দামি আর পবিত্র সম্পত্তি দিতে পারিনা। আর সেটা যদি তুমি হও।
অনেক আগে আমি প্রায় দেখতাম ছাদ থেকে। সাব্রিনা, আর মেরিনা প্রায় আপনার রুমে যেত পবিত্র শরবত পান করতে। আমি একবার জিজ্ঞেসও করেছিলাম এই দুইজনকে। তারাই বলেছিল, ঈশ্বরের পবিত্র শরবত পান করান আপনি তাদেরকে। তবে একদিন রাতে সেই আপত্তিকর উষ্ণ শব্দ শুনেই আমার বুঝা হয়ে গেছিল। কোন শরবত তাদের আপনি পান করান হে আমার মহান পবিত্র ফাদার। আমি অবশ্য সেদিন কৌতূহলী হয়ে আপনার রুমের পেছনের জানালা দিয়ে শুনেছিলাম। তবে সেই বয়সে আমি সাব্রিনার মত এতটাও পেকে যায়নি।
ফাদারের মুখ একদম বন্ধ হয়ে যায়। সামনে সাব্রিনাও আছে। তবে মেরিনা এখন নেই এখানে। তবে আরও একজন নেই এখানে। সে হচ্ছে মাইকেলের হবু বউ। থাকলে বেশ ভাল হত মনে হচ্ছিল রেনাসের কাছে।
কিছু একটা বলার আগে সেই বাইকার গ্যাংরাও চলে আসে বাসার সামনে। রেনাস তখন বলে, বাকি কাজটা না হয় তারা আসার পরেই হবে। আমি একটু নিচে যাচ্ছি কিছু একটা নিয়ে আসতে।
রেনাস দরজা দিয়ে বের হতেই ম্যামের প্রাক্তন স্বামী রেনাস কে জিজ্ঞেস করে, মাইকেল কোথায় ?
সে আপনাদের থেকে অনেক দূরে আছে। সে মালটাতে।
রেনাস কথা শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচেই নামতে থাকে। নামার শেষ বাইকারের কয়েকজনের সাথে দানবের মত দেখতে। কোন কথা ছাড়ায় উপরে চলে যায় তারা। যেহেতু কাগজে বিস্তারিত বলা হয়েছিল বাসায় এসে কি করতে হবে।
কিন্তু রেনাস দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়। লাগিয়ে দেয় সেই অটোম্যাটিক লক। যেটা সহজে খোলা সম্ভব নই।
বাড়ির সামনে এসে জার্মানির সবচেয়ে খাতারনাক পুলিশ এলিট ফোরস কে জরুরী কল দেয় রেনাস। কল দিয়ে সে শুধু বলে, আগামী সাতাশ মিনিটের মাঝে অমুক ঠিকানার একটা বাড়িতে সন্ত্রাসীদের একটা ভয়ঙ্কর হামলা হবে। আর তারা এই ঠিকানার বাড়িতেই আছে।
রেনাস ধীরে ধীরে রাস্তার উল্টো দিকে হাঁটতে থাকে। যেখানে গাড়িটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল। তার মাথায় এখন সুক্ষ ভয়ানক প্রতিশোধের খেলার ছক চলছে। মাত্র যেটা শুরু হয়েছে। এমন কি তারা বাসা থেকেও বের হতে পারবেনা। ধীরে ধীরে সময় এগিয়ে চলেছে। সময়ের সাথে সাথে দুটো হেলিকপ্টার মাথার উপর দিয়ে চক্কর দিতে শুরু করেছে। রেনাস বুঝে গেছে যে তারা একশন নিয়ে নিয়েছে। তবে এখনও বাকি খেলা। রেনাস অনেক দূর চলে এসেছে। এখান থেকে কিছুটা বুঝা যাচ্ছে বাড়ির সামনের অবস্থা। আর একটু এগোতেই রেনাস দেখে যে পুলিশের বহর বাসার সামনে এসে থামল। অস্ত্র সজ্জিত বাহিনী নামছে গাড়ি থেকে। মাইক থেকে একজন চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে বলছে সবাইকে। তবে তারা ভেতর থেকে কি বলছে টা শোনা সম্ভব নয়। রেনাস দাঁড়িয়ে যায় দেখার জন্য। সে তখন মোবাইল পকেট থেকে বের করে একটা ভিডিও পাঠায় মেসেঞ্জারে ওপর পাশের কাওকে। সাথে সাথেই পুলিশের গুলি বর্ষণ হতে শুরু করে বাড়ির উপরে। আর যেহেতু ভেতরে বাইকার গ্যাং ছিল। তাদের কাছে অস্ত্র থাকেই। তারাও থেমে থাকতে না পেরে পাল্টা আঘাত দিতে শুরু করে। শুরু হতে থাকে দুই পক্ষের লড়াই। তবে শেষে সবাই শেষ হয়ে যাবে।
রেনাস হাসতে হাসতে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে থাকে।
রেনাস হিনা বের হয়ে যাওয়ার পরে পরিকল্পনার আসল ছক শেষ করে । মালটা থেকে আসার সময়ে রেনাস বেশ কয়েকটা মোবাইল নিয়ে আসে। সাথে বেশ কয়েকটা সাউন্ড স্পিকার। মাইকেল জিজ্ঞেস করেছিল সে এটা কি করবে? তখন রেনাস কোন উত্তর দেয়নি। আর আধুনিক বাড়িতেও নেট থাকে। যদিও সে জানত না যে, এই বাড়িতে নেট থাকবে কিনা। কিন্তু ভাগ্যবশত নেট ছিল এই বাড়িতে। হিনা বেরিয়ে যাওয়ার পরে রেনাস গেটের উপরে দুটো স্পিকার আর ঘরের ভেতরে দুটো। বাড়িতে টিভির সাথেও বড় দুটো স্পিকার ছিল। সেগুলো খুলে জানালার পাশে ঝুলিয়ে দেয়। এই জিনিসটা কেও অত সহজে আমলে নিবেনা। সাথে কানেক্ট করে দেয় মোবাইল। স্ক্রিন অন করে দেয় অল টাইমের জন্য। পাশের রুমে ছিল সেই মোবাইল। খাটের নিচে। আর মেসেঞ্জারে কোন ভিডিও পাঠানোর পরে যে কোন ভিডিও অন হয়ে যায়। সেই মেসেজ টা সামনে রেখেছিল রেনাস। ভিডিও পাঠানোর পরেই গান শটের আওয়াজ হতে শুরু করে স্পিকারে। এতো নিখুঁত শব্দে যে কেও ঘাবড়ে যাবে। সেখানে পুলিশ একশন নিবেনা তাৎক্ষণিক। হতেই পারেনা। তারা কিছু বুঝে উঠার আগেই ঝাপিয়ে পড়বে।
ঠিক তাই হয়েছে। কোন কিছুই এদিক সেদিক হয়নি। কোন প্রমান ছাড়াই শেষ হয়ে যায় সব কিছু। মাঝে তারাও শেষ হয়ে যায়। আর পুলিশরা যদি পরে বুঝতেও পারে এটা নাটক ছিল। ততক্ষণেও কোন প্রমান পাবেনা। কারণ রেনাস কোন প্রমান ছেড়েই আসেনি।
রেনাস লম্বা একটা পথ শেষ করে মাইকেলের বন্ধুর সেই মেডিকেলে যায়। যেখানে এখনও ম্যামের লাশ আছে। আজ শুধু দেখতে এসেছে। লাশ থাকবে আরও অনেক দিন। যত দিন না মাইকেল আসছে।
মাইকেলের বন্ধু রেনাস কে নিয়ে যায় সেই মর্গে। রেনাসের মুখে মাস্ক আর পরনে পিপিই। কিন্তু এই মর্গটা একদম ভিন্ন। স্বপ্নের মত নই। এতটাই ভূতুরে যে বলার মত নই। অথচ অসংখ্য লাইটের আলো। আর এই ভূতুরে মর্গেই নাক রেখেছে লেনা ম্যাম কে।
রেনাস বার বার মনে মনে প্রার্থনা করছিল। যদি স্বপ্নের মত এই লাশটাও বদলে যেত।
কিন্তু ড্রয়ার যখন খোলা হল। রেনাসের সামনে কাটা ছেঁড়া ম্যামের লাশটাই বেরিয়ে আসল। রেনাস আসতে করে মুখের মাস্ক টেনে খুলে। কিছুটা গন্ধ আসছে। তাতে কি বা আসে যায় আর। বেঁচে থাকতে এই নাক দিয়ে এই শরীরের অনেক ঘ্রাণ শুঁকা হয়েছে। এখন কিনা এই সামান্য গন্ধটাই সহ্য করা কঠিন হয়ে যাবে।
একদম কাছে গিয়ে তাকিয়ে থাকে রেনাস লেনার চেহারার দিকে। এই চেহারাটা এমন ছিলনা কখনও। কোন কাটা দাগ ছিল না। ছিলনা কোন শেলায়ের দাগ। চোখের পাপড়ি ছিল সাদা। যেই চোখের দিক থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে হত না। আস্তে করে রেনাস তার দুই হাত ম্যামের চেহারাতে রাখে। ভেতরে কান্নার জোয়ার আসছে। কিন্তু চোখ যেন শুঁকিয়ে গেছে। এক ওটা পানিও বের হচ্ছেনা। খুব চেষ্টা করল রেনাস এক ফোঁটা জল ম্যামের চেহারাতে ফেলার জন্য। কান্না আসেনি তার।
লম্বা একটা সময় তার ঠাণ্ডা বরফ চেহারাটা ধরে ছিল রেনাস। শেষে শুধু সেই চেহারার দিকে তাকিয়ে বলল। আমি তোমার কাছে সুখ চেয়েছিলাম লেনা। কিন্তু কখনও দুনিয়ার সুখ চাইনি। তুমি তবুও আমাকে দুনিয়া দিয়ে নিজেই চলে গেলে অন্য জগতে।
কথাটা বলে রেনাস ধীরে ধীরে ড্রয়ার লাগিয়ে দেয়।
আজ চলে যাবে রেনাস। আবার আসবে হয়ত। কিন্তু তখন আসবে এই জায়গায় তাঁকে নিতে দাফন করার জন্য। কিন্তু গল্প তো আর নেই তাদের মাঝে। ডাইরির শেষ পাতার মতই শেষ হয়ে গেছে। হয়ত দুজন দুজনকে পেয়েই যেত। অথবা কেও বা পেয়েই যায়। কিন্তু কোন একটা অদৃশ্য হাতের জন্য সুজনের ভালোবাসা ভেঙ্গে হারিয়ে যায়।
রেনাস মর্গ থেকে বেরিয়ে যায়। ধীরে ধীরে তার চোখ ভিজতে শুরু করেছে......
সমাপ্ত