ফ্যারিনকজাইটিস ও টনসিলাইটিস একই ধরনের গলা সম্পর্কিত রোগ হলেও, এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। চলুন, তাদের মধ্যে পার্থক্য গুলো আলোচনা করি:
১. ফ্যারিনকজাইটিস (Pharyngitis)
ফ্যারিনকজাইটিস গলার পেছনের অংশ, অর্থাৎ ফ্যারিংস (যে অংশে খাদ্য গলা দিয়ে নামতে থাকে) এ প্রদাহ বা সংক্রমণ হয়। এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে। সাধারণত, এই রোগে গলার ব্যথা, শুকনো গলা, গলা ফুলে যাওয়া, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
২. টনসিলাইটিস (Tonsillitis)
টনসিলাইটিস হলো টনসিল (গলার দুই পাশে ছোট দুটি লসিকাগ্রন্থি) এর প্রদাহ। এটি সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং এতে টনসিলের উপর ফুসকুড়ি বা পুঁজ জমে যেতে পারে। এর উপসর্গে গলা ব্যথা, জ্বর, খাবার খেতে সমস্যা, টনসিলের লাল হয়ে যাওয়া, মুখে বাজে গন্ধ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
পার্থক্য গুলো:
1. অঙ্গের অবস্থান:
ফ্যারিনকজাইটিসে গলার পেছনের অংশে (ফ্যারিংস) প্রদাহ হয়।
টনসিলাইটিসে গলার দুই পাশে টনসিলের প্রদাহ হয়।
2. উপসর্গ:
ফ্যারিনকজাইটিসে সাধারণত গলা ব্যথা, শুকনো গলা, কাশি, জ্বর থাকে।
টনসিলাইটিসে টনসিল ফুলে যাওয়ার সাথে সাথে গলা ব্যথা, গলার পেছনে পুঁজ জমে যাওয়া, খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে।
3. কারণ:
ফ্যারিনকজাইটিস ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হতে পারে।
টনসিলাইটিস সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তবে এটা অনেকটা টনসিলের সংক্রমণের ফলে ঘটে।
4. চিকিৎসা:
ফ্যারিনকজাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত গলা পরিষ্কার রাখা, বিশ্রাম, ওষুধ এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক হতে পারে।
টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে, বিশেষত যদি এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তখন অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হতে পারে এবং অনেক সময় severe cases এ টনসিল অপসারণও করা হতে পারে।
একই বা আলাদা?
ফ্যারিনকজাইটিস ও টনসিলাইটিস আলাদা রোগ হলেও গলার প্রদাহের কারণে অনেক উপসর্গ ও লক্ষণ একই রকম হতে পারে। কিন্তু, এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য হলো আক্রান্ত জায়গা এবং নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রক্রিয়া।
যদি গলার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা জটিলতা বাড়ে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।