শারীরিক চাহিদা বা যৌন ইচ্ছা (libido) বয়স, হরমোন, মানসিক স্বাস্থ্য, জীবনধারা, সম্পর্কের পরিস্থিতি এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ প্রবণতা দেখা যায়:
পুরুষদের ক্ষেত্রে:
যৌবনকাল (১৮-৩০ বছর): পুরুষদের মধ্যে শারীরিক চাহিদা সাধারণত সবচেয়ে বেশি থাকে এই বয়সে। কারণ এই বয়সে টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্তর সাধারণত সবচেয়ে উচ্চ থাকে, যা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পর্কিত।
বয়স ৩০-৪০ বছর: এই সময়েও শারীরিক চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে, তবে কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে হরমোনের স্তরের পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার কারণে ইচ্ছা কিছুটা কমতে পারে।
বয়স ৪০ বছর এবং তার পর: বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন এর স্তর কমতে থাকে, যার ফলে যৌন ইচ্ছা কিছুটা কমতে পারে। তবে এটি ব্যক্তিগত পার্থক্য হতে পারে এবং কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন চাহিদা এখনও অনেক বেশি থাকতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে:
যৌবনকাল (১৮-৩০ বছর): মহিলাদের শারীরিক চাহিদা এই বয়সে তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের স্তরের কারণে যৌন ইচ্ছা তীব্র হতে পারে।
বয়স ৩০-৪০ বছর: মহিলাদের মধ্যে এই সময় যৌন চাহিদা কিছুটা কমতে পারে, তবে এটি সম্পর্ক, মানসিক অবস্থা, এবং শারীরিক স্বাস্থ্য দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
বয়স ৪০ বছরের পর: মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যার কারণে যৌন ইচ্ছার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। তবে, কিছু মহিলার ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সার্বিকভাবে:
শারীরিক চাহিদা বয়সের সাথে পরিবর্তিত হলেও, এটি ব্যক্তিগত পার্থক্য এবং সম্পর্কের গুণগত মান দ্বারা প্রভাবিত হয়। মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্কের গুণ, এবং শারীরিক সুস্থতার উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।