ই-কমার্স মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে এবং ব্যবসার ধরণ, লক্ষ্য এবং গ্রাহকদের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। সাধারণভাবে, ই-কমার্স মার্কেটিংকে নিম্নলিখিত প্রধান কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):
-
আপনার অনলাইন স্টোরের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং কাঠামোকে অপ্টিমাইজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন (যেমন Google) রেজাল্টের শীর্ষে আসার চেষ্টা করা হয়।
-
এর মাধ্যমে অর্গানিক বা বিনামূল্যে ট্র্যাফিক আকর্ষণ করা সম্ভব।
২. কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing):
-
মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট (যেমন ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক) তৈরি করে এবং শেয়ার করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এবং ধরে রাখা।
-
এটি ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing):
-
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম (যেমন Facebook, Instagram, Twitter, Pinterest) ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করা।
-
গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য এটি কার্যকর।
৪. ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing):
-
ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, নতুন পণ্য বা অফার সম্পর্কে জানানো এবং তাদের কেনাকাটায় উৎসাহিত করা।
-
গ্রাহকদের ধরে রাখা এবং পুনরায় বিক্রি বাড়ানোর জন্য এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
৫. পেইড অ্যাডভার্টাইজিং (Paid Advertising):
-
সার্চ ইঞ্জিন (যেমন Google Ads) এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে (যেমন Facebook Ads) অর্থ প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো।
-
নির্দিষ্ট গ্রাহকদের লক্ষ্য করে দ্রুত ট্র্যাফিক এবং বিক্রি বাড়ানো সম্ভব।