378 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ভারত উপমহাদেশে আত্মপ্রকাশকারী একটি ভ্রান্ত ফেরক্বার নাম ‘আহলে কুরআন’। এরা অতীতের ভ্রান্ত ফেরক্বা খারেজী ও রাফেযীদের নতুন রূপ। তাদের মতে, কুরআনই সকল সমস্যা সমাধানের পূর্ণাঙ্গ উৎস। হাদীছ মানার কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ এই বিশ্বাস চরম গোমরাহী ছাড়া কিছুই নয়। একথা স্বীকার করার অর্থ হলো- কুরআনকেই অস্বীকার করা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘রাসূল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে নিষেধ করেছেন তা বর্জন করো’ (আল-হাশর, ৫৯/৭)। এখানে আল্লাহ তাআলা রাসূলের বাণীকে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীছ দুটিই আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ অহী। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের থেকে কোনো কথা বলতেন না, যা বলতেন সবকিছু অহী থেকেই বলতেন (আন-নাজম, ৫৩/৩-৪)। মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো ফয়ছালা দিলে কোনো মুমিন নারী-পুরুষের জন্য সে ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করার অধিকার নেই’ (আল- আহযাব, ৩৩/৩৬)। তাছাড়া আল্লাহ হাদীছ নাযিল করেছেন কুরআনের ব্যাখ্যাস্বরূপ। তাহলে হাদীছকে ছেড়ে কুরআন বুঝা সম্ভব হয় কীভাবে? আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছিল, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে’ (আন-নাহল, ১৬/৪৪)। যারা এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের দাবিদার কুরআন তাদের বিপক্ষেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। বিধায় এমন আক্বীদায় বিশ্বাস করা নিশ্চিত কুফরী। তাই যারা এই বিশ্বাস লালন করে তারা স্পষ্টত কাফের।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,465 টি প্রশ্ন

35,778 টি উত্তর

1,765 টি মন্তব্য

3,865 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 6 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 43569
গতকাল ভিজিট : 17969
সর্বমোট ভিজিট : 56290162
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...