এই প্রচণ্ড গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ সাধারণত শরীরের পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), ত্বকের সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব এবং বাহ্যিক পরিবেশের প্রভাবের ফলস্বরূপ হয়। এখানে কিছু কারণ দেওয়া হল:
1. ডিহাইড্রেশন (পানি শূন্যতা): প্রচণ্ড গরমের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে এবং যদি পর্যাপ্ত পানি না পান করা হয়, তাহলে শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এই কারণে ত্বক, বিশেষত ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এবং ফাটতে পারে।
2. শুষ্ক বাতাস: গরম আবহাওয়ায় বায়ু শুকনো হয়ে যায়, যা ত্বক ও ঠোঁটের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঠোঁটের চামড়া শুষ্ক হয়ে ফাটে।
3. থুতু না পাওয়া (লালা নিঃসরণ কম হওয়া): গরমের কারণে অনেকেরই ঠোঁটে শুকনোভাব অনুভূত হয়, এবং ঠোঁট ভিজিয়ে রাখার জন্য মুখে কিছুটা লালা নিঃসরণ প্রয়োজন। কিন্তু গরমের মধ্যে অনেক সময় এই লালার পরিমাণ কমে যেতে পারে, ফলে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে ফাটতে পারে।
4. আল্ট্রাভায়োলেট (UV) রশ্মির প্রভাব: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV রশ্মি) ত্বকের সুরক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে এবং ঠোঁটের ত্বককে আরও শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি ঠোঁট ফাটার অন্যতম প্রধান কারণ।
5. অপর্যাপ্ত যত্ন: ঠোঁটের সঠিক যত্ন না নেওয়া, যেমন ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ভালো লিপবাম ব্যবহার না করা, ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা বাড়ায়।
ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধের উপায়:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লিপবাম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লিপবাম বা অন্যান্য স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।
ঠোঁট চামড়া কামড়ানো বা চেপে ধরা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে ঠোঁটের আরও ক্ষতি হতে পারে।
শুষ্ক বাতাস থেকে রক্ষা পেতে ঠাণ্ডা বা আর্দ্র পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
এভাবে আপনি ঠোঁট ফাটা রোধ করতে পারেন এবং গরম আবহাওয়ায় ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।