তাওরাত, যবুর, এবং ইঞ্জিল হল আল্লাহর পাঠানো পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থসমূহ, যা ইসলামে সম্মানিত। তবে, কুরআন এবং ইসলামী ঐতিহ্যে এগুলোর মধ্যে কতটি "সূরা" বা "অধ্যায়" আছে তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না, কারণ এসব গ্রন্থের বেশিরভাগই আমাদের কাছে বর্তমান কুরআনের মতো সংরক্ষিত নেই।
তবে, এখানে প্রতিটি গ্রন্থ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো:
১. তাওরাত (তাওরাত বা তাওরাত শারিফ)
তাওরাত হলো ইস্রাইলদের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত একটি গ্রন্থ, যা হযরত মূসা (আ.)'র প্রতি নাজিল হয়েছিল। তাওরাতের বর্তমান অবস্থা একটি বড় অংশ হারিয়ে গেছে বা পরিবর্তিত হয়েছে। তাওরাতে কতটি অধ্যায় (বা সূরা) ছিল, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না, কারণ এটি বর্তমান কুরআন বা অন্যান্য গ্রন্থ হিসেবে আমাদের কাছে সংরক্ষিত নেই। তবে, তাওরাতের মূল গ্রন্থে মোট ৫টি বড় অংশ বা সেকশন ছিল, যার মধ্যে আইন, বিধান এবং উপদেশ ছিল।
২. যবুর (যবুর শারিফ)
যবুর হলো হযরত দাউদ (আ.)'র উপর নাজিল হওয়া একটি ধর্মগ্রন্থ। এটি মূলত কবিতা বা গান আকারে ছিল, যেখানে আল্লাহর প্রশংসা, দোয়া এবং বিভিন্ন উপদেশের কথা বলা হয়েছে। যবুরের বর্তমান সংস্করণও আমাদের কাছে পাওয়া যায় না, তবে ইসলামী ঐতিহ্যে এটি ১০০-১৫০টি সুরা বা অধ্যায় হতে পারে। যবুরের মূল গ্রন্থের সংখ্যা ও অংশ নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।
৩. ইঞ্জিল (ইঞ্জিল শারিফ)
ইঞ্জিল হলো হযরত ঈসা (আ.)'র উপর নাজিল হওয়া একটি গ্রন্থ। এটি মূলত ঈসা (আ.)'র উপদেশ ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেছিল। ইঞ্জিলের বর্তমান অংশ, যেমন বাইবেল (যার মধ্যে "নিউ টেস্টামেন্ট" রয়েছে), আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। বাইবেলের নতুন অংশে মোট ২৭টি বই রয়েছে, তবে ইঞ্জিলের প্রাথমিক গ্রন্থটি যে কতটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল, তা নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন, কারণ তা আমাদের কাছে সরাসরি সংরক্ষিত নেই।
উপসংহার:
তাওরাত এবং যবুর এর বর্তমান অবস্থায় আমাদের কাছে কতগুলো সূরা বা অধ্যায় রয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, কারণ এই গ্রন্থগুলো আমাদের কাছে পুরোপুরি সংরক্ষিত নেই।
ইঞ্জিল বা বাইবেলের নতুন অংশে মোট ২৭টি বই রয়েছে, তবে এটি মূল ইঞ্জিলের প্রতিফলন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।