542 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিদ্যা" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

তরঙ্গ:

যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোনো জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চালিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।

তরঙ্গ দ্বারা শক্তি একস্থান থেকে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়।

কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় মাধ্যমে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তা যান্ত্রিক তরঙ্গ।

শব্দ এক প্রকার তরঙ্গ।

পানির তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ প্রভৃতি যান্ত্রিক তরঙ্গ।

যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন।

তাড়িত চৌম্বকীয় তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্যকোনো মাধ্যম লাগে না।

তরঙ্গের সৃষ্টি হতে হলে মাধ্যমের কণাগুলো সাম্যাবস্থানের দুই পাশে কম্পিত হতে হবে।

পুকুরের স্থির পানিতে একটি ঢিল ছুড়ে মারা হলে ঢিলটি ঐ স্থানের পানিরকণাগুলো আন্দোলিত করে। এই আন্দোলিত কণাগুলো পার্শ্ববর্তী স্থির কণাগুলোকে আন্দোলিত করে। এভাবে কণা হতেকণাতে স্থানান্তরিত হয়ে আন্দোলন অবশেষে পুকুরের কিনারায় গিয়ে পৌছায়। পানির কণাগুলো শুধু উপর নিচে ওঠানামা করে কিন্তু সামনের দিকে অগ্রসর হয় না। পানিতে আন্দোলনের কারণে পানির কণাসমূহে যে যান্ত্রিক শক্তির সৃষ্টি হয় তা কম্পনের মাধ্যমে একস্থান হতে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়। প্রত্যেক কণার এই ধরনের গতির ফলে যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন পানির উপর দিয়ে চলে যায় তাই তরঙ্গ।

তরঙ্গ দুই প্রকার:

i) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ
1) শব্দ এক প্রকার শক্তি।

2) কম্পনশীল বস্তু থেকে শব্দ সৃষ্টি হয়।
3) শব্দ স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তরঙ্গের আকারে বিস্তার লাভ করে।

শব্দের শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী শব্দকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয় এগুলি হল-
শ্রুতিগোচর শব্দ: শব্দ উৎসের কম্পাঙ্ক 20Hz থেকে 20000 Hz এর মধ্যে থাকলে সেই শব্দ শুনতে পায়। একে শ্রুতিগোচর শব্দ বলে।
 
শব্দেত্তর শব্দ: শব্দ উৎসের কম্পাঙ্ক 20Hz অপেক্ষা কম হলে। তাদের শব্দেত্তর শব্দ বলা হয়। এই শব্দ আমরা শুনতে পাই না।

শব্দোত্তর শব্দ: শব্দ উৎসের কম্পাঙ্ক 20000Hz এর বেশি হলে তাকে শব্দোত্তর শব্দ বলা হয়।

শব্দের তরঙ্গ ধর্ম সংক্রান্ত কয়েকটি সংজ্ঞা
শব্দের তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য :
শব্দ একটি স্থিতিস্থাপক অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। কারণ-
1) তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য যেমন কম্পনের প্রয়োজন তেমনি শব্দ সৃষ্টির জন্য কম্পনের প্রয়োজন।
2) তরঙ্গের বেগ আছে শব্দেরও বেগ আছে।
3) তরঙ্গের মতো শব্দ বিস্তারের সময় মাধ্যমে স্থানচ্যুতি ঘটেনা।
4) তরঙ্গের মতো শব্দের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও ব্যতিচার হয়।
ii) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ

1) শব্দ এক প্রকার শক্তি।
2) কম্পনশীল বস্তু থেকে শব্দ সৃষ্টি হয়।
3) শব্দ স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তরঙ্গের আকারে বিস্তার লাভ করে।

শব্দের শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী শব্দকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয় এগুলি হল-
শ্রুতিগোচর শব্দ: শব্দ উৎসের কম্পাঙ্ক 20Hz থেকে 20000 Hz এর মধ্যে থাকলে সেই শব্দ শুনতে পায়। একে শ্রুতিগোচর শব্দ বলে।

শব্দের তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য :
শব্দ একটি স্থিতিস্থাপক অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। কারণ-

1) তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য যেমন কম্পনের প্রয়োজন তেমনি শব্দ সৃষ্টির জন্য কম্পনের প্রয়োজন।
2) তরঙ্গের বেগ আছে শব্দেরও বেগ আছে।
3) তরঙ্গের মতো শব্দ বিস্তারের সময় মাধ্যমে স্থানচ্যুতি ঘটেনা।
4) তরঙ্গের মতো শব্দের প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও ব্যতিচার হয়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
6 এপ্রিল, 2021 "পদার্থবিদ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md.Suny
1 টি উত্তর
6 এপ্রিল, 2021 "পদার্থবিদ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md.Suny
1 টি উত্তর
4 এপ্রিল, 2021 "পদার্থবিদ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md.Suny
1 টি উত্তর
21 নভেম্বর, 2020 "পদার্থবিদ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Kuddus
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,803 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
4 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 4 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 1967
গতকাল ভিজিট : 13748
সর্বমোট ভিজিট : 53146702
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...