420 বার দেখা হয়েছে
"ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
মক্কা নগরীতে অবস্থিত কাবা শরীফের ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও পবিত্রতায় মুগ্ধ হয়ে মানুষ যখন দলে দলে কাবা ঘরের দিকে আসতে থাকে তখন ইয়েমেনের রাজা আব্রাহা ঈর্ষা'ণিত হয়ে কাবা ঘর ধ্বং'স (নাউজুবিল্লাহ) করার পরিকল্পনা করেন। আব্রাহা এই উদ্দেশ্যে ৬০ হাজার সৈন্য ও কয়েক হাজার হাতি নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হন।

যখন তারা মসজিদুল হারাম শরীফের কাছাকাছি পৌছান তখন আল্লাহ হাজার হাজার আবাবিল পাখি প্রেরণ করেন।

পাখিগুলো আল্লাহর নির্দেশে পায়ের তালুতে ২ টি ও মুখের মধ্যে ১ টি করে পাথর নিয়ে আব্রাহার হাতি বাহিনীর উপর নি'ক্ষেপ করতে থাকে এবং তাদের পুরোপুরি ধ্বং'স করে দেয়।

এই ঘটনার কথা আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা আল ফীলে বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কাবা শরীফে এখনও এই আবাবিল পাখি দেখা যায়।

সময়টা ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ। মক্কার পার্শ্ববর্তী ইয়েমেনের শাসক আবরাহা। আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন একচ্ছত্র ক্ষমতা ও শক্তি। ক্ষমতার দাপটে আবরাহার ইচ্ছা হলো ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে সে কাবার অনুরূপ কিছু একটা তৈরি করবে। অতঃপর সারা পৃথিবী থেকে মানুষ হজ পালন করতে মক্কার পরিবর্তে সানায় যাবে। নাগরিকদের জু'লুমের মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অর্থ এবং উন্নয়ন কর্মীর কোনো অভাব না থাকায় তা যথাসময়ে তৈরিও হয়ে গেল।

কিন্তু বাদ সাধল, সারা পৃথিবীর মানুষ। হজ পালনের জন্য তাদের ধর্মীয় পিতা ইব্রাহীম আ:-এর তৈরি ঘর কাবা থেকে কোনোক্রমেই সানার কাবায় যাচ্ছিল না। এতেই একসময় ক্ষে'পে যায় দো'র্দণ্ড প্রতাপশালী আবরাহা! সিদ্ধান্ত নেয় ইব্রাহীম আ:-এর কাবা ভেঙে ফেলতে হবে! সিদ্ধান্ত মোতাবেক সৈন্য-সামন্ত নিয়ে কাবা অভিমুখে রওয়ানা হয় সে। সাথে ৯-১৩টি শক্তিশালী হাতি। 

পথিমধ্যে প্রভাবশালী কুরাইশ বংশের নেতা আবদুল মোত্তালিব [রাসূল সা:-এর পিতামহ] আবরাহার পথরো'ধ করে দাঁড়ালেন। সত'র্ক করলেন আবরাহাকে। তাকে বললেন, এমন বিপ'জ্জনক কাজ থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে উন্ম'ত্ত আবরাহাকে থামানো গেল না। তবে যাত্রাপথে কিছুটা বি'ঘ্ন ঘটাল হাতিগুলো। হাতিগুলোর দৃষ্টি সীমানার মধ্যে পবিত্র কাবা শরিফ আসার পর তারা আর অগ্রসর হতে চাইছিল না। তাই তারা হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। চতুর আবরাহা হাতিগুলোর অভিপ্রায় বুঝতে পেরে ওগুলোর মুখ ঘুরিয়ে অন্যমুখী করল। তারপর তাদের খাওয়াল ভালো ভালো খাবার। উপরন্তু কিছু খাবার কাবামুখী পথে ও কাবা প্রাঙ্গণেও জমা করে রাখল।

আল্লাহ তার প্রতি বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু একটা দেখানোর জন্যই বোধকরি হাতিগুলোকে সেই রক্ষিত খাবারগুলোর প্রতি অনুরক্ত হওয়ার পথে আর বাদ সাধলেন না। তাই খাদ্যলোভী হাতিগুলো এবার জোর কদমেই এগোতে থাকল কাবার দিকে। মক্কার বিশ্বাসী কিন্তু দুর্বল মানুষগুলো দু-হাত তুলে ফরিয়াদ জানালেন আসমান ও জমিনের মালিক আল্লাহর কাছে। বললেন, ‘ইয়া রাব্বুল আল-আমীন! একমাত্র তুমিই পার এই দানবের হাত থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় কাবা ঘরটিকে র'ক্ষা করতে।’

ধৈর্যশীল আল্লাহ তাঁর ধৈর্যকে আর প্রলম্বিত করলেন না। তাঁরই সৃষ্ট সর্ববৃহৎ স্থলপ্রাণী হাতির সমন্বয়ে গঠিত ও বিবিধ সমরা'স্ত্র সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি পাঠালেন তাঁর অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ‘আবাবিল’ পাখিকে। অ'স্ত্র হিসেবে তাদের সাথে দিলেন প্রতি পাখির হাতে-পায়ে বহনযোগ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোড়ামাটির তৈরি শক্ত ঢিল। ঝাঁকে ঝাঁকে তারা উড়ে এলো বৃহদাকার হাতি ও সুসজ্জিত সেই বাহিনীর হাম'লা প্রতিরো'ধে, দু’হাতে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র দু’টি ঢি'ল নিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গবাদি পশুর খাদ্য, গমের ভুসি তুল্য বস্তুতে পরিণত হলো শক্তিশালী সেই বাহিনী ও হাতিগুলো। অতঃপর বাতাসে উড়তে লাগল সেই ভুসি।রক্ষা পেল পবিত্র কাবা ঘর। 

 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
20 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 অক্টোবর, 2019 "সাধারন জ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
1 অক্টোবর, 2019 "বাংলার ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 মে, 2019 "আন্তর্জাতিক বিষয়" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
23 ফেব্রুয়ারি, 2021 "ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর

36,983 টি প্রশ্ন

36,310 টি উত্তর

1,788 টি মন্তব্য

3,876 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
12 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 12 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 20159
গতকাল ভিজিট : 25463
সর্বমোট ভিজিট : 57357554
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...