ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
2,204 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন
দলিল দিয়ে বলতে হবে

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
খিজির (আঃ) কে? তিনি নবী ছিলেন, না ওলী ছিলেন, তিনি কি বেঁচে আছেন কি বেঁচে নেই এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কুরআনে তাকে "তোমাদের বান্দাদের একজন।" (কাহফঃ ১৮/৬৫) বলা হয়েছে। বুখারী শরীফে তার নাম খিযির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা তাকে নবী বলেন, তাদের দাবীর ভিত্তি হল, খিযিরের বক্তব্য, "আমি এসব নিজের মতে করিনি। "(কাহফঃ ১৮/৮২)। অর্থাৎ সবকিছু আল্লাহর নির্দেশে করেছি। অলীগণের কাশ্ফ ইলহাম শরীআতের দলীল নয়। কিন্তু নবীগণের স্বপ্নও আল্লাহর অহী হয়ে থাকে। যেজন্য ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় পুত্রকে যবেহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অতএব বালক হত্যার মত ঘটনা কেবলমাত্র নবীর পক্ষেই সম্ভব, কোন অলীর পক্ষে আদৌ নয়। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায় যে, নবী কখনো শরীআত বিরোধী কাজ করতে পারেন না। ঐ সময় শরীআতধারী নবী ও রাসূল ছিলেন হযরত মূসা (আঃ)। আর সে কারণেই খিযিরের শরীআত বিরোধী কাজ দেখে তিনি বারবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছিলেন। এ ব্যাপারে সবাই একমত যে, খিযির কোন কেতাব ধারী রাসূল ছিলেন না, বা তার কোন উম্মত ছিল না। এখানে আমরা যদি বিষয়টিকে কুরআনের প্রকাশ্য অর্থের উপরে ছেড়ে দিই এবং তাকে ‘আল্লাহর একজন বান্দা’ হিসাবে গণ্য করি, যাকে আল্লাহর ভাষায়, "আমরা আমাদের পক্ষ হতে বিশেষ রহমত দান করেছিলাম এবং আমাদের পক্ষ হতে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান"। (কাহফঃ ১৮/৬৫)। তাহলে তিনি নবী ছিলেন কি অলী ছিলেন, তিনি এখনো বেঁচে আছেন, না মারা গেছেন, এসব বিতর্কের আর কোন অবকাশ থাকে না। যেভাবে মূসার মায়ের নিকটে আল্লাহ অহী (অর্থাৎ ইলহাম) করেছিলেন এবং যার ফলে তিনি তার সদ্য প্রসূত সন্তান মূসাকে বাক্সে ভরে সাগরে নিক্ষেপ করতে সাহসী হয়েছিলেন। (ত্বোয়াহাঃ ২০/৩৮-৩৯) এবং যেভাবে জিব্রীল মানুষের রূপ ধরে এসে রাসূল (সাঃ)-এর সাথে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ছাহাবীগণকে দ্বীনের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন একই ধরনের ঘটনা মূসা ও খিযিরের ক্ষেত্রে হওয়াটাও বিস্ময়কর কিছু নয়। মনে রাখা আবশ্যক যে, লোকমান অত্যন্ত উঁচুদরের একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তার জ্ঞানপূর্ণ উপদেশসমূহ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এবং তার নামে একটি সূরা নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না। লোকমানকে আল্লাহ যেমন বিশেষ ‘হিকমত’ দান করেছিলেন (লোকমানঃ ৩১/১২)। খিযিরকেও তেমনি বিশেষ ‘ইল্ম’ দান করেছিলেন। (কাহফ ১৮/৬৫)।
2 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
অবশেষে তারা [মুসা (আ.) ও তার সঙ্গী] আমার বান্দাদের মধ্যে একজনের সাক্ষাৎ পেল [তার নাম খিজির (আ.)], যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে (বিশেষ) অনুগ্রহ করেছি। আর তাকে আমার পক্ষ থেকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছি। [সুরা : কাহফ, আয়াত : ৬৫ 

তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর মুসা (আ.) এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, মহান আল্লাহ যাঁর ওপর বিশেষ রহমত বর্ষণ করেছেন এবং তাঁকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছেন। তিনি আল্লাহর নবী খিজির (আ.)।

পবিত্র কোরআনের ইতিহাস রচনার মূলনীতি হলো, কোনো ঘটনার ঠিক ততখানি উল্লেখ করা হয়ে থাকে যতখানি হেদায়েতের পথপরিক্রমায় প্রয়োজন। ইতিহাসের চুলচেরা বিশ্লেষণ কোরআনের উদ্দেশ্য নয়। এই মূলনীতির আলোকে খিজির (আ.)-এর ব্যক্তিপরিচিতি সম্পর্কেও সামান্য কিছু তথ্য কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানা কঠিনতম ব্যাপার। তাই তাঁকে নিয়ে নানা মিথ ও মুখরোচক ঘটনা জন্ম নিয়েছে। তাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হলো, তিনি কি এখনো জীবিত আছেন? তিনি কি কিয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তাফসিরবিদ, হাদিসবিদ ও ইতিহাসবিদরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। সুফি ভাবধারায় বিশ্বাসী সবাই মনে করেন, খিজির (আ.) এখনো জীবিত এবং তিনি কিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন। বহু প্রখ্যাত ব্যক্তিও এ তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইবনে কাসির (রহ.), ইমাম নববী (রহ.) ও ইবনুস সালাহ (রহ.)-এর মতো জগদ্বিখ্যাত মুসলিম মনীষীরা। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, ‘সবাই এ বিষয়ে একমত যে খিজির (আ.) এখনো জীবিত আছেন।’ [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪৫ (আরবি, দারু আলামিল কুতুব, ২০০৩)]

ইমাম নববী (রহ.) লিখেছেন, ‘সব আলেম এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে খিজির (আ.) জীবিত। এবং তিনি আমাদের সামনে বিদ্যমান। আর সুফিদের সবাই এ মতবাদে বিশ্বাসী।’ [শারহুন নববী, বাবুন মিন ফাদ্বাইলিল খিদ্বির, পৃষ্ঠা ৫১৯ (আরবি, দারুল খাইর, ১৯৯৬)]

ইবনে সালাহ (রহ.) লিখেছেন, ‘আলেম ও পুণ্যবান সবার বিশ্বাস হলো খিজির (আ.) জীবিত।’ (শারহুন নববী, প্রাগুক্ত)

খিজির (আ.) সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করার কারণ কী? এর জবাবে ইবনে হাজর আসকালানি (রহ.) লিখেছেন, ‘ইতিহাসবিদরা এর দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এক. কথিত আছে যে আদম (আ.) তুফান থেকে বের হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করলে খিজির (আ.) তাঁকে দাফন করেন। তখন তিনি খিজির (আ.)-এর জন্য এ মর্মে দোয়া করেছেন, যেন খিজির (আ.) আদম (আ.)-এর মতো হায়াত লাভ করেন। এ দোয়ার বরকতে তিনি দীর্ঘ হায়াত পেয়েছেন। তবে এ ঘটনার সপক্ষে অকাট্য বা বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।

দুই. খিজির (আ.) সম্পর্কে আরো কথিত আছে যে তিনি জুলকারনাইন বাদশাহর সঙ্গে ‘আবে হায়াত’-এর সন্ধান পেয়েছেন। এবং সৌভাগ্যবশত তিনি সেই আবে হায়াত তথা অমরত্বের অমীয় সুধা পান করে ধন্য হয়েছেন। (ইবনে হাজার আসকালানি, ‘আয যাহরুন নাদ্বার ফি হালির খাদ্বার’, পৃষ্ঠা ২৬)

এই ‘আবে হায়াত’-এর ঘটনাটি ইতিহাসবিদ ইবনুল আসির (রহ.) তাঁর ‘আল কামিল ফিত তারিখ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তাঁর সূত্রে আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’র তৃতীয় খণ্ডে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। উভয় ঘটনার বর্ণনাসূত্রে রয়েছেন আবু জাফর আল বাকির ও তাঁর পিতা জাইনুল আবেদিন (রহ.)। তাঁরা উভয়ে শিয়া মতবাদের বিভিন্ন উক্তির প্রসিদ্ধ বর্ণনাকারী।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
28 মার্চ, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
12 আগস্ট, 2022 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন জনি
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
23 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
7 ফেব্রুয়ারি, 2021 "স্বপ্নের ব্যাখ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন শরিফ
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 18326
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51890674
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...