কিছু অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলি নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি সৃষ্টি করে:
১. ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস সংক্রামিত অ্যাপস
-
ক্ষতিকারক অ্যাপস ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয় যা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে বা ডিভাইসকে অকার্যকর করতে পারে।
-
এগুলো সাধারণত থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোর বা অজানা সোর্স থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপসের মাধ্যমে আসে।
২. ডেটা চুরি করার অ্যাপস
-
কিছু অ্যাপ অনুমতি নিয়ে ব্যবহারকারীর ফোনের কন্টাক্টস, মেসেজ, লোকেশন এবং ব্যাংকিং তথ্য চুরি করে।
-
এই অ্যাপগুলো সাধারণত ফ্রি ইউটিলিটি অ্যাপের মতো দেখায়, যেমন লাইট ফ্ল্যাশ অ্যাপ বা ব্যাটারি সেভার।
৩. অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখানো অ্যাপস (Adware)
-
Adware অ্যাপস ফোনে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখায় এবং এর ফলে ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে।
-
এগুলো ব্যাটারি এবং ইন্টারনেট ডেটা দ্রুত শেষ করে দেয়।
৪. ফোনের হার্ডওয়্যার ক্ষতি করে এমন অ্যাপস
-
কিছু অ্যাপ প্রসেসর ও ব্যাটারিকে অতিরিক্ত লোড দেয়, যা ডিভাইসের গরম হওয়ার এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।
৫. পাইরেটেড বা ক্র্যাকড অ্যাপস
-
পাইরেটেড অ্যাপস সাধারণত ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস যুক্ত থাকে এবং ফোনের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
৬. অতিরিক্ত পারমিশন চাওয়া অ্যাপস
-
কোনো অ্যাপ যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পারমিশন চায় (যেমন ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লোকেশন), তবে এটি সন্দেহজনক হতে পারে।
কীভাবে ক্ষতিকারক অ্যাপ থেকে বাঁচবেন?
-
গুগল প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।
-
অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে রিভিউ এবং রেটিং দেখুন।
-
অ্যাপ ইনস্টল করার সময় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পারমিশন দিন।
-
ফোনে একটি ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করুন।
-
সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অ্যাপস নিয়মিত আপডেট করুন।
-
সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক বা অজানা সোর্স থেকে ফাইল ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলুন।
উল্লেখযোগ্য কিছু অ্যাপ এড়িয়ে চলা উচিত:
-
অপরিচিত VPN অ্যাপস।
-
কিছু ফ্রি ক্লিনার বা বুস্টার অ্যাপ।
-
ফ্রি স্ট্রিমিং বা পাইরেটেড কন্টেন্ট অ্যাপ।
-
অ্যাপ যা গেম বা অন্য কিছু ক্র্যাকড ভার্সন হিসেবে দাবি করে।
আপনার ফোন নিরাপদ রাখতে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।