ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
462 বার দেখা হয়েছে
"গবাদিপশু" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

পক্সভিরিডি গোত্রের এলএসডি ভাইরাস দ্বারা গবাদিপশু (বিশেষ করে গরু, মহিষ) এ রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত গরু থেকে আরেক গরুতে সাধারনত ভেক্টর (মাছি, মশা) এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, এছাড়া সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে৷


ছড়ানোর মাধ্যমসমূহ হচ্ছে-

মাছি : এই রোগের ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসাবে মশা মাছিকে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কিট পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

লালা : আক্রান্ত গরুর লালা খাবারের মাধ্যমে অথবা খামারে কাজ করা মানুষের কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে।

দুধ : যেহেতু আক্রান্ত গাভীর দুধে এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে তাই আক্রান্ত গভীর দুধ খেয়ে বাছুর দুধ খেয়ে আক্রান্ত হতে পারে।

সিরিঞ্জ : আক্রান্ত গরুতে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ থেকে এই ভাইরাস বাহিত হতে পারে।

রক্ষণাবেক্ষণকারী : খামারে কাজ করা মানুষের পোশাকের মাধ্যমে আক্রান্ত গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আক্রান্ত গরুর সিমেন : ভাইরাস আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন এই রোগের অন্যতম বাহন কারণ আক্রান্ত গরুর সিমেনেও এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকে।


রোগের লক্ষণ :

আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর হয় এবং খাওয়ার রুচি কমে যায়।জ্বরের সাথে সাথে মুখ ও নাক দিয়ে লাল বের হয়।শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়। ধারাবাহিকভাবে এই ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে।ক্ষত মুখের মধ্যে , পায়ে এবং অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে।


প্রতিকার ব্যবস্থা:

খামারের ভিতরের এবং আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যেন মশা মাছির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।আক্রান্ত গরুকে কোয়ারেন্টানে রাখতে হবে এবং পরিচর্যা করতে হবে ।আক্রান্ত গরুকে কামড়ানো মশা মাছি সুস্থ গরুকে কামড়ালে এই রোগের সংক্রমন হতে পারে, তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া।আক্রান্ত গভীর দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া।আক্রান্ত গরুর পরিচর্যা শেষে একই পোশাকে সুস্থ গরুর মধ্যে প্রবেশ না করা।আক্রান্ত গরুর খাবার বা ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুস্থ গরুর কাছে না আনা।ক্ষত স্থান টিংচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।


চিকিৎসা :

এল এস ডি আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে কিংবা রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।


এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
0 টি উত্তর
29 অক্টোবর, 2021 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
26 অক্টোবর, 2023 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন নয়ন

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
1 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 1 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 9312
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51881667
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...