1,046 বার দেখা হয়েছে
"রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
সম্পাদিত করেছেন

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর বহু মানুষের হয়ে থাকে। সাধারণত চলিশোর্ধ নারীদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। বেশ কিছু কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে ৷ আসুন জেনে নেই - 

১) খাবারে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেশি থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হয়। 
২) যেসব নারী হরমোন নেন বা নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ পিল খান তাদেরও পিত্তথলিতে পাথর হয়। 
৩) বছরের পর বছর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলেও পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে । 
৪) গর্ভকালীন সময়ে ও গলব্লাডারে পাথর হওয়ার একটা কারণ। কেননা গর্ভধারন করলে চলাফেরা কম করা হয়। এর ফলে পিত্তথলির ফাংশন কিছুটা কমে যায়। 
৫) যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে থাকেন তারাই পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে ভোগেন। 
৬) স্থুলকায় ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । এজন্য দেখা যায় আমেরিকার দশ ভাগ লোক গলব্লাডারে পাথর নিয়ে চলছে। 
৭) পরিবারে কারো গলব্লাডারে পাথর হওয়ার ইতিহাস থাকলে অন্যদেরও পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 
৮) শিশুর ক্ষেত্রে যদি রক্তে লোহিত কণিকা ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী হতে পারে। 

চিকিৎসাঃ 
১) ঔষধ : পাথরের আকার ১৫ মি.মি. এর কম হলে, এক্সরেতে দেখা না গেলে, রোগীর স্থুলতা মাঝারি হলে এবং রোগীর উপসর্গ হালকা ধরণের হলে মেডিকেল চিকিৎসা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাইল এসিড যেমন আরসোডিঅক্সিকোলিক এসিড দীর্ঘমেয়াদে মুখে খেতে হয়। এটি পাথরকে ভেঙে দ্রবীভূত করে। 

২) সার্জারি : পিত্তাশয় কেটে ফেলাকে  কোলেসিস্টেক্টোমি বলে। এটি দুই ভাবে করা হয়- 
ক) ওপেন বা পেট কেটে এবং 
খ) ল্যাপারস্কপির মাধ্যমে। 

ল্যাপারস্কপির কিছু বাড়তি সুবিধা আছে যেমন পেট কাটার প্রয়োজন হয় না, হাসপাতালে রোগীকে বেশিদিন অবস্থান করতে হয় না, তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায় প্রভৃতি। অসুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কমন পিত্তনালীতে পাথর থাকলে তা বের করা যায়না।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
পিত্তথলিতে পাথর হলো- পিত্তাশয়ে কোলেস্টেরল, পিত্ত লবণ ও বিলিরুবিনের সংমিশ্রনে গঠিত শক্ত সঞ্চিত পদার্থ। পিত্তথলিতে পাথরের মেডিকেল টার্ম হলো কলেলিথিয়াসিস। গলব্লাডার বা পিত্তথলি অপসারণের জন্য সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো কলেলিথিয়াসিস।

.

পিত্ত থলিতে পাথর হওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি হলো-

১) বয়স – বেশি বয়স (বিশেষত ৬৫ বছরের পরে)।

২) পথ্য – পাশ্চাত্য খাদ্য উচ্চ শক্তি, উচ্চ চর্বি, উচ্চ মিহি কার্বোহাইড্রেট,

 কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া।

৩) এনজাইম অপূর্ণতা – যেমন, সিকল সেল এনিমিয়া এবং কিছু অন্যান্য জেনেটিক পরিবর্তন।

৪) লিঙ্গ – স্ত্রীলিঙ্গ

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা – যেমন গর্ভাবস্থা বা ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে।

ঔষধ – ইস্ট্রজেন, ইনসুলিন, জন্মবিরতিকরণ বড়ি বা পিল, কোলেস্টাইরামিন।

৫) স্থূলতা – বিশেষ করে সর্বোচ্চ তাহলে BMI (বডি মাস ইন্ডেক্স) থাকলে।

৬) ওজন হ্রাস – দ্রুত ওজন হ্রাস, রোযা, বা ক্র্যাশ খাবার খেলে।

৭) পারিবারিক ইতিহাস – পরিবার ইতিহাসে পিত্তপাথর থাকলে

৮) নারী পুরুষে তারতম্য- পুরুষদের চেয়ে নারীদের পিত্তাসয়ের পাথর হওয়ার সম্ভাবণা দ্বিগুণ l

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
24 ডিসেম্বর, 2020 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Khadiza
1 টি উত্তর
24 জানুয়ারি, 2020 "তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Nasima
0 টি উত্তর
7 ফেব্রুয়ারি "মতামত" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন iManik
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
8 ফেব্রুয়ারি, 2021 "স্বপ্নের ব্যাখ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন শরিফ
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
10 ফেব্রুয়ারি "বাংলাদেশ" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন MuazMahmud
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
22 মার্চ, 2021 "জীব বিজ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Redowan
1 টি উত্তর

36,465 টি প্রশ্ন

35,778 টি উত্তর

1,765 টি মন্তব্য

3,865 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
14 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 14 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 49123
গতকাল ভিজিট : 17969
সর্বমোট ভিজিট : 56295693
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...