মাসিকের স্বাভাবিকতা জানার জন্য কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা একজন নারীর মাসিক চক্রের নিয়মিততা এবং স্বাস্থ্য জানাতে সাহায্য করে। এখানে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো:
- মাসিক চক্রের নিয়মিততা: সাধারণত, মাসিক চক্র ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। মাসিক যদি এই নিয়মিত সময়ের মধ্যে আসে এবং সঠিক সময় থেকে একটু কম বা বেশি দিনের মধ্যে হয়, তবে তা স্বাভাবিক হতে পারে।
- রক্তপাতের পরিমাণ: স্বাভাবিক মাসিকের রক্তপাত সাধারণত ৩-৭ দিন স্থায়ী হয় এবং এতে খুব বেশি বা খুব কম রক্তপাত হওয়া উচিত নয়। খুব বেশি রক্তপাত বা অতিরিক্ত পিরিয়ড (যেমন ৮ দিন বা তার বেশি সময় ধরে) কোনো সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
- ব্যথার মাত্রা: মাসিক চলাকালে সাধারণ কিছু ব্যথা হতে পারে, কিন্তু যদি ব্যথা অত্যন্ত তীব্র হয়, বা দৈনন্দিন কাজকর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তবে এটি স্বাভাবিক নয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- মাসিক শুরু ও শেষের সময়: মাসিক চক্রের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিকতা (যেমন খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়া বা অল্প রক্তপাত) দেখা দিলে এটি স্বাভাবিক নাও হতে পারে।
- হরমোনের পরিবর্তন: মাসিকের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরের কিছু পরিবর্তন ঘটে, যেমন ত্বকের অবস্থা বা মুড সুইং। তবে অতিরিক্ত হরমোনাল পরিবর্তন বা নিয়মিত অস্বাভাবিকতা চিকিৎসক পরামর্শ দাবি করে।
- অতিরিক্ত রক্তপাত বা ক্লট: অনেক বেশি রক্তপাত অথবা রক্ত জমাট (ক্লট) দেখা দেওয়া, যেমন সাইজে বড় বা কঠিন রক্ত জমাট, তা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
- মাসিকের অনুপস্থিতি: যদি কোনো নারী মাসিক বন্ধ হয়ে যায় বা কয়েক মাস ধরে না হয়, তবে এটি গর্ভাবস্থা, হরমোনের সমস্যা, অথবা অন্য কোনো শারীরিক কারণে হতে পারে।
যদি উপরের কোনো লক্ষণ অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। মাসিকের স্বাস্থ্য নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের প্রতিফলন হতে পারে, তাই এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।