সাধারণত ২০ বছরের শেষে এবং ৩০ বছরের শুরুতে প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা মাসিক পূর্ব লক্ষন দেখা যায়। কোনো মাসে মাসিক পূর্ব সিনড্রম এর ফলে ঘটিত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো খুব বেশী ভাবে দেখা যায় এবং কখনও কম মাত্রায় দেখা যায়।
লক্ষণ ও উপসর্গঃ
প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রম-এর ফলে সাধারণত নিচের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা যায় ৷
মানসিক ও আচরণগত উপসর্গঃ
* দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা, বিষন্নতা, হঠাৎ কেঁদে ফেলা, মেজাজ উঠা-নামা করা এবং ক্রোধান্বিত হওয়া ৷
* খাবারে রুচির পরিবর্তন হওয়া (Appetite Changes and food cravings)
* নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের সমস্যা হওয়া
* সামাজিক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকা (Social withdrawn)
*যে কোন কিছুতে উদাসীনতা বা অসচেতনতা ৷
শারীরিক লক্ষণ ও উপসর্গঃ
* অস্থিসন্ধি অথবা মাংসপেশীতে ব্যথা
* মাথা ব্যথা এবং অবসাদ
* শরীরে রস জমে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
* পেট ফুলে যাওয়া (Abdominal bloating)
* স্তনে ব্যথা হওয়া
* মুখে ব্রণ বা একনি বেড়ে যাওয়া
* কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া হওয়া ৷
কখন ডাক্তার দেখাবেন ?
উপরোক্ত উপসর্গগুলো মারাত্মক আকারে দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ৷
পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ
এক্ষেত্রে তেমন কোন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রম-এর উপসর্গগুলো জানার মাধ্যমেই ডাক্তার রোগ নির্ণয় করতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
সাধারণত সমস্যার ধরণ, মাত্রা এবং রুগীর বয়সের উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে-
* বিষন্নতা রোধী ঔষধ (Antidepressants),
* ব্যথা নাশক ঔষধ (Nonsteroidal anti
inflammatory Drugs)
* জন্মরিরতি করণ ঔধষ বা পিল
* ইনজেকশন গ্রহণ (যেমনঃ Medroxy progesterone acetate )
জীবন-যাপন পদ্ধতি পরিবর্তনঃ
* বারে বারে অল্প করে খাবার খেতে হবে৷ * খাবারে কম লবণ ব্যবহার করতে হবে ৷ * শর্করা সমৃদ্ধ খাবার যেমন: ফলমূল, শাকসবজি বেশী করে খেতে হবে ৷
* আয়রন বা লোহা সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ৷
* ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে।
যদি খাবারে পর্যাপ্ত
ক্যালসিয়াম না থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম ঔষধ সেবন করতে হবে৷
* প্রতিদিন মাল্টিভিটামিন ঔষধ খেতে হবে ৷
* চা, কফি এবং মাদকদ্রব্য সেবন থেকে
বিরত থাকতে হবে ৷
* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম
করতে হবে ৷ যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার ইত্যাদি ৷