মানসিক চাপের মধ্যে যখন মানুষ থাকে, যেমন পারিবারিক সমস্যা বা চাকরিতে পদোন্নতি হচ্ছে না, মানসিক যে অস্থিরতা তার চাপ খাদ্যনালির ওপর গিয়ে পড়ে। এই মানসিক চাপই আইবিএস রোগের একটি মূল কারণ।
আরো যেই কারণগুলো রয়েছে, সেগুলো মধ্যে আছে - আমাদের খাদ্যনালিতে যেই বিভিন্ন হরমোন আছে সেগুলোর রস ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করে। এতে খাদ্যনালির স্বাভাবিক গতি কখনো বেড়ে যায়, কখনো খুব কমে যায়। সেগুলোর মধ্যে একটি পদার্থ রয়েছে সেরোটোনিন। এটি যদি খুব বেড়ে যায় বা কমে যায় খাদ্যনালির গতি পরিবর্তন হতে পারে। তা ছাড়া অন্যান্য রোগ যদি থাকে, যেগুলো মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলোও আইবিএসের কারণে হতে পারে।
কিছু কিছু খাবারের সঙ্গেও কিন্তু আইবিএসের একটি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- কারো কারো দেখা যায় দুধজাতীয় খাবার খুব বেশি হজম হতে চায় না। যাকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। এই ধরনের খাবারগুলো খেলে রোগীর পেট ফেঁপে যায়, কারো কারো ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, কারো কারো পেটে অনেক গ্যাস তৈরি হয়। আবার কিছু খাবার আছে যেমন- শাক বা সবজি— এই জাতীয় খাবারও অনেক সময় হজম করতে কারো কারো অসুবিধা হয়। তাই আইবিএস রোগীদের মনে একটি ধারণা জন্ম নেয় যে এই খাবারগুলো তাদের সহ্য হচ্ছে না।