পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার ৷
এর লক্ষণসমূহ নিম্নরুপঃ
অনিয়মিত ঋতু চক্র , মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, শরীরে অবাঞ্ছিত লোম বিশেষ করে মুখে গোফ হয় এবং বুকে লোম গজায়, মুখ মন্ডলে ব্রণ যা সহজে সারতে চায় না, তল পেটে ব্যথা, গর্ভধারণে ব্যর্থতা, পুরু, গাঢ়, বেগুনি চামড়া দাগ পড়ে, ওজন বৃদ্ধি পায় ৷
এর কিছু জটিলতা আছে ৷ যেমন- টাইপ-২ ডায়াবেটিস , অতিস্থূলতা, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া , হৃদরোগ,
মেজাজ পরিবর্তন , এন্ডোমেট্রিয়াল
ক্যান্সার ইত্যাদি ৷
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম এর কারণঃ
জিনগত এবং পরিবেশগত কারণ, অতিস্থূলতা , ব্যায়াম না করা, পারিবারিক
ইতিহাস ৷
রোগনির্ণয়ঃ
ডিম্বপাত না হওয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যান্ড্রোজেন , ওভারিয়ান সিস্ট ৷
চিকিৎসাঃ
ওজন কমাতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করে স্রাব নিয়মিত করতে হবে, মেটফরমিন গ্রুপের ঔষধ সেবন, অ্যান্টি- অ্যান্ড্রোজেন ৷
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম পুরোপুরি ঠিক হয়না। জীবনধারায় পরিবর্তন, যেমন ওজন কমানো এবং ব্যায়াম করা, এগুলিই হল এর চিকিৎসা।
এছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করলে রজঃস্রাব স্বাভাবিক হয়, অবাঞ্ছিত লোম এবং ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মেটফরমিন এবং অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেন ব্যবহার করলেও কাজ হতে পারে। বিশেষ রকম ব্রণ চিকিৎসা এবং অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। উর্বরতা বৃদ্ধি করার জন্য ওজন কমানোর সাথে ক্লমিফেন , বা মেটফরমিন ব্যবহার করা যেতে পারে। যাঁদের অন্যান্য ব্যবস্থা কাজ করেনি তাঁদের জন্য ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।