বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
১. গৌতম বুদ্ধের মহাজীবন- গৌতম বুদ্ধের মহাজীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং গুণাবলি অর্জনে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
২. ত্রিশরণ- ত্রিরত্নের প্রতি পূর্ণ আস্থা, অটল বিশ্বাস ও প্রগাঢ় শ্রদ্ধাবোধ রেখে ধর্মানুরাগী হওয়া ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা।
৩. বন্দনা ও নিত্য কর্ম- বন্দনা ও নিত্যকর্ম সম্পাদন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার মাধ্যমে গুরুজনের গুণাবলি স্মরণ করা এবং পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে আগ্রহ সৃষ্টি করা।
৪. পূজা- পূজার গুরুত্ব অনুধাবন করা এবং দানের দ্বারা ত্যাগের মনোভাব গড়ে তোলা।
৫. শীল- শীল দ্বারা আত্মসংযম,সত্যবাদিতা, শিষ্টাচার, জীবে দয়া, মাদক দ্রব্য বর্জন ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটানো।
৬. ত্রিপিটক পরিচিতি- ত্রিপিটক পরিচিতির মাধ্যমে নিজ ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা।
৭. ধর্মীয় অনুষ্ঠান- ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করা এবং এতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞাতি, গোত্র ও স্বজন পরিজনের সংগে সুসম্পর্কের মনোভাব গঠন করা।
৮. বৌদ্ধ কর্মবাদ- কর্মের সুফল ও কুফল সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং সকল প্রকার সৎ কর্মে উদ্বুদ্ধ হওয়া ও আদর্শিক জীবন গঠনে অধিক মনোযোগী হওয়া।
৯. ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি- ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতিতে উদ্বুদ্ধ হওয়া এবং আত্মমর্যাদা ও দেশপ্রেম চেতনার
মনোভাব গঠন করা। মানবাধিকার, আন্তর্জাতিকতাবোধ ও সৌভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
১০. তীর্থ ও মহাতীর্থ/ঐতিহাসিক স্থান - তীর্থ, মহাতীর্থ ও ঐতিহাসিক স্থানের পরিচিতি, গুরুত্ব, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা।
১১. জাতক কাহিনি- জাতক পাঠের মাধ্যমে ধর্মীয় আদর্শ, সততা, সদাচরণ, পরোপকার, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা।
১২. বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্ব- বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলির তুলনামূলক ধারণা লাভ করা।
১৩. বুদ্ধের শিষ্য-প্রশিষ্য- বুদ্ধের শিষ্য- প্রশিষ্যের জীবনচরিত ও তাঁদের অবদান সম্পর্কে জানা এবং সৎ জীবন গঠনে শিক্ষা অর্জন করা।
১৪. প্রকৃতি ও পরিবেশ- বৌদ্ধধর্মের আলোকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কেধারণা লাভ করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার সহজ কৌশল জানা
১৫. পালি বর্ণমালা ও ভাষা- পালি বর্ণমালা ও ভাষা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।