১. খুব টেনশন হলে বুকের ভেতরে গভীর শ্বাস টেনে নিন। রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকলে মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়, মাংসপেশি শিথিল হয় এবং মন ঠাণ্ডা হয়। ২. গভীর শ্বাস টেনে নেয়ার পাশাপাশি মেডিটেশন করুন। মস্তিষ্কে প্রায় ঘুমের সমপর্যায়ের অবস্থা তৈরি হবে। শূন্যে মনোনিবেশ করলে চাপ কমে যায়।
৩. নিজের ব্যক্তিগত কিছু কথা বিশ্বাসভাজন ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করুন, বুঝবেন টেনশন হালকা হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজনবোধে তার সৎ পরামর্শ নিয়ে কাজের জন্য উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যৌক্তিকতা খোঁজার চেষ্টা করুন। এতে দুশ্চিন্তার নিরসন হতে পারে। ৪.আপনি হয়তো কখনোই ডায়রি লেখেননি। তবুও এ সময়টায় নোট প্যাড বা ডায়রিতে কিছু লেখার চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি ডায়রিতে লিখুন। পাশাপাশি আপনি কী চান বা কী করলে আপনার ভালো লাগত সেই বিষয়টিও লিখুন।
৫। বাস্তববাদী হওয়াঃযে কোনো ঘটনা বা ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকে অযথা উৎকণ্ঠিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জীবন মানেই কিছু সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে কাম্য নয়। তবে এটা ও ঠিক, সবকিছুর সমাধান রয়েছে ও সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যায়। কাজেই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতা গ্রহণ করা প্রয়োজন।এর ফলে কিছুটা টেনশন কমে যাবে আশা করি।
৬।শরীরচর্চাও আপনার মন ভালো রাখতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অ্যান্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়; যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতেও সাহায্য করে।