অনেক সময়ই আমরা মোবাইলের স্ট্যাটাস বার (Status Bar) -এ E, G, H, H+ এই অক্ষর গুলো দেখতে পাই। প্রশ্ন আসতেই পারে, এগুলি কেন আসে। এগুলি আসলে আমাদের মোবাইলে ইন্টারনেট স্পীডের অবস্থা বোঝায়।
G : G হ'ল GPRS (General Packet Radio Service) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। মোবাইলে যদি G দেখায়, মোবাইলে সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হবে ৫৩.৬ কিলোবিট প্রতি সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হবে ২৬.৮ কিলোবিট প্রতি সেকেন্ড।
E : Enhanced Data Rate for GSM Evolution বা EDGE হ'ল GPRS এর থেকে বেশী গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ। EDGE এ সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হবে ২১৭.৬ কিলোবিট প্রতি সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হবে ১০৮.৮ কিলোবিট প্রতি সেকেন্ড।
H : EDGE এর থেকে বেশী গতিসম্পন্ন পরিষেবা দেয় HSPA (High Speed Packet Access) । মোবাইলে H দেখানোর অর্থ মোবাইলটির সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হবে ৭.২ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হবে ৩.৬ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড।
H+ : H+ বা HSPA+ হ'ল HSPA এর থেকে উন্নত মানের। H+ এ সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হবে ৮৪.৪ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হবে ১১.৫ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড (HSPA - Release 9 এর জন্য)।
এছাড়াও 3G, 4G/LTE চিহ্ন ও দেখা যায় মোবাইলে। 3G বা 3rd Generation এ সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হ'ল ৩৮৪ কিলোবিট/সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হ'ল ১২৮ কিলোবিট/সেকেন্ড। এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি স্পীড পাওয়া যায় 4G (4th Generation) বা LTE (Long Term Evolution) প্রযুক্তিতে। LTE তে সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পীড হ'ল ১০০ মেগাবিট/সেকেন্ড এবং সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড হ'ল ৫০ মেগাবিট/সেকেন্ড।