দ্বিতীয় রুকূ’র চতুর্থ আয়াতে واد النمل এর কথা বলা হয়েছে। সূরার নাম এখান থেকেই গৃহীত হয়েছে। অর্থ্যাৎ এমন সূরা যাতে নামল এর কথা বলা হয়েছে। অথবা যার মধ্যে নামল শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
নাযিলের সময়-কাল
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগীর দিক দিয়ে এ সূরা মক্কার মধ্যযুগের সূরগুলোর সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্য রাখে।
হাদীস থেকেও এর সমর্থন মেলে । ইবনে আব্বাস (রা) ও জাবের ইবনে যায়েদের (রা) বর্ণনা হচ্ছে, “প্রথমে নাযিল হয় সূরা আশ শু’আরা তারপর আন নামল এবং তারপর আল কাসাস।”
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয়
এ সূরার দু’টি ভাষন সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রথম ভাষনটি শুরু হয়েছে সূরার সূচনা থেকে চতুর্থ রুকূ’র শেষ পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় ভাষণটি পঞ্চম রুকূ’র শুরু থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রথম ভাষণটিতে বলা হয়েছে, কুরআনের প্রথম নির্দেশনা থেকে একমাত্র তাঁরাই লাভবান হতে পারে এবং তার সুসংবাদসমূহ লাভের যোগ্যতা একমাত্র তারাই অর্জন করতে পারে যারা এ কিতাব যে সত্যসমূহ উপস্থাপন করে সেগুলোকে এ বিশ্ব-জাহানের মৌলিক সত্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়। তারপর এগুলো মেনে নিয়ে নিজেদের বাস্তব জীবনেও আনুগত্য ও অনুসরনের নীতি অবলম্বন করে। কিন্তু এ পথে আসার ও চলার ক্ষেত্রে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে সেটি হচ্ছে আখেরাত অস্বীকৃতি। কারণ এটি মানুষকে দায়িত্বহীন, প্রবৃত্তির দাস ও দুনিয়াবী জীবনের প্রেমে পাগল করে তোলে। এরপর মানুষের পক্ষে আল্লাহর সামনে নত হওয়া এবং নিজের প্রবৃত্তির কামনার ওপর নৈতিকতার বাঁধন মেনে নেয়া আর সম্ভব থাকে না। এ ভুমিকার পর তিন ধরনের চারিত্রিক আদর্শ পেশ করা হয়েছে।